ঝড়ে হেলে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। ছবি:নির্মল বসু
একে ঝড়-বৃষ্টি, তার উপরে লাগাতার লোডশেডিংয়ের জেরে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে বিশেষ করে সমস্যায় পড়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদেরও পরীক্ষা চলছে। আলোর অভাবে তাদেরও পড়াশোনায় ক্ষতি হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রাকৃতিক দুর্যোগে কোথাও বিদ্যুৎ সংযোগই বিচ্ছিন্ন। কোথাও আবার ঘন ঘন লোডশেডিং চলছে। মোটর না চলায় পানীয় জলের সমস্যা হচ্ছে। বিদ্যুতের অভাবে মোবাইলের চার্জও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সংস্লিষ্ট দফতরে জানানো হলেও বিশেষ কোনও হেলদোল দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ।
হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের সুন্দরবনের জঙ্গল লাগোয়া কালীতলা, পারঘুমটি, সামসেরনগর, সন্দেশখালির দুর্গামণ্ডপ, কোড়াকাটি-সহ একাধিক গ্রামে গত তিন দিন ধরে চলছে এই পরিস্থিতি। মিনাখাঁ, হাড়োয়া, হাসনাবাদ, সন্দেশখালি ১ ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকাতেও বিদ্যুৎ বিপর্যয় চলছে। হিঙ্গলগঞ্জ, সাহেবখালি, বাঁকড়া, দুলদুলিতে ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে।
পারঘুমটি গ্রামের বাসিন্দা গোবিন্দকাটি হাইস্কুলের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সুধীন মণ্ডল, রানি মণ্ডল, একাদশী মণ্ডলরা বলে, ‘‘আমাদের আসন পড়েছে পঞ্চপল্লি হাইস্কুলে। আলোর অভাবে ঠিক মতো পড়াশোনা করতে পারছি না।’’ সন্দেশখালির একটি স্কুলের শিক্ষক শঙ্কর সর্দার, হিঙ্গলগঞ্জের একটি স্কুলের শিক্ষক ভোলানাথ সর্দার বলেন, ‘‘বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে ছাত্রছাত্রীদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে বড় রকম ক্ষতি হচ্ছে।’’
যে সব স্কুলে সৌরবিদ্যুৎ আছে, সেখানে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষার সময়ে আলো পাচ্ছে। কোনও কোনও স্কুলে পরীক্ষার সময়ে জেনারেটর ভাড়া করে আলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ দফতরের দাবি, লাগাতার ঝড় ও বৃষ্টির ফলে কোথাও বিদ্যুতের তার ছিঁড়েছে, কোথাও বৃষ্টির কারণে মাটি আলগা হওয়ায় খুঁটি হেলে পড়েছে। সর্বত্র মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, অল্প সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক হয়ে যাবে।