নতুন সৃষ্টির নেশাতেই প্রতিমা গড়ে শুভজিৎ

ছোটবেলা থেকেই ঠাকুরদাদা বাবাকে প্রতিমা তৈরি করতে দেখেছে বছর ষোলোর ছেলেটি। কখনও কালী কখনও দুর্গা আবার কখনও লক্ষ্মী প্রতিমা গড়েছেন বাবা। লেখাপড়ার ফাঁকে মাঝে মধ্যেই প্রতিমা গড়ায় বাবার সঙ্গে হাত লাগিয়েছে সে। তখন থেকেই তার স্বপ্ন শিল্পী হবে সে।

Advertisement

সীমান্ত মৈত্র

বনগাঁ শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:০৭
Share:

তখন ব্যস্ত কাজে। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক।

ছোটবেলা থেকেই ঠাকুরদাদা বাবাকে প্রতিমা তৈরি করতে দেখেছে বছর ষোলোর ছেলেটি। কখনও কালী কখনও দুর্গা আবার কখনও লক্ষ্মী প্রতিমা গড়েছেন বাবা। লেখাপড়ার ফাঁকে মাঝে মধ্যেই প্রতিমা গড়ায় বাবার সঙ্গে হাত লাগিয়েছে সে। তখন থেকেই তার স্বপ্ন শিল্পী হবে সে।

Advertisement

সপ্তম শ্রেণি থেকেই বাবার কাছে তালিম নেওয়া শুরু হয় বনগাঁর ঘাটবাওর এলাকার একাদশ শ্রেণির শুভজিৎ পালের। বাড়িতেই রয়েছে প্রতিমা তৈরির ব্যবস্থা। শুভজিৎ এখন ব্যস্ত বাবা সঞ্জয়বাবু ও ঠাকুরদাদা অনিলবাবুর মতোই। কারণ এ বার তার হাতে রয়েছে ১১টি দুর্গা প্রতিমা তৈরির রায়না। গত বছর বনগাঁ, ধর্মপুকুর-সহ নানা এলাকার মণ্ডপে তার তৈরি প্রতিমাই পুজো হয়েছে। দেখে তার বেশ আনন্দই হয়েছিল।

ওই এলাকার ছয়ঘড়িয়া রাখালদাস উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ে সে। কিন্তু স্কুলের কেউ জানেই না, এত ভাল প্রতিমা তৈরি করে সে। লাজুক স্বভাবের ছেলেটির কথায়, ‘‘স্কুলে কাউকে কিছু বলিনি। নীরবে প্রতিমা তৈরি করে যেতে চাই।’’

Advertisement

পারিবারিক ব্যবসা সে ধরে রাখতে ইচ্ছুক বটে। কিন্তু তাঁর প্রথম লক্ষ্য সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া। পাশাপাশি সে প্রতিমা তৈরির কাজটাও চালিয়ে যেতে চাই।

প্রথাগত প্রতিমা তৈরির পাশাপাশি শুভজিৎ থিমের প্রতিমাও তৈরি করে ফেলেছে। কার্টুন চরিত্র ছোটা ভীমের আদলে গড়েছে প্রতিমা। নতুন সৃষ্টির কাজ করতে সে বেশি আগ্রহী। বাবা সঞ্জয়বাবু বলেন, ‘‘প্রতিমা তৈরির ক্ষেত্রে উৎসাহ দেখে আমরাও অবাক হয়েছিলাম। ভবিষ্যতেও প্রতিমা তৈরিকেই পেশা হিসাবে নেবে কিনা জানি না। তবে একটা বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছি যে ওর কখনও কাজের অভাব হবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন