Subhash Chatterjee

Ichamati: প্রয়াত ইছামতী নদী সংস্কারের জনক সুভাষ চট্টোপাধ্যায়

ইছামতী নদীকে বাঁচাতে দিল্লি পর্যন্ত ছুটে গিয়েছিলেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২১ ১৭:০৯
Share:

সুভাষ চট্টোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।

প্রয়াত ইছামতী নদী সংস্কার সহায়তা কমিটির স্রষ্টা সুভাষ চট্টোপাধ্যায়। পরিচিতদের কাছে তিনি ছিলেন ‘নিতুদা’। বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। সোমবার কলকাতার একটি হাসপাতাল‌ে শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।

Advertisement

প্রায় ২ দশক আগে ইছামতী নদীকে বাঁচানোর লড়াইয়ে ঝঁপিয়ে পড়েন সুভাষ। সেই উদ্দেশ্যে পশ্চিমবঙ্গ ইছামতী নদী সংস্কার সহায়তা কমিটি গড়ে তোলেন। নদিয়া থেকে বসিরহাট পর্যন্ত ইছামতীর পাড়ের মানুষদের একত্রিত করে যাত্রা শুরু করেন। সেই নিয়ে দিল্লি পর্যন্ত দৌড়তে হয় তাঁকে। তৎকালীন কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রী উমা ভারতীর হস্তক্ষেপ চান।

তাঁর এই উদ্যোগেই ইছামতীর উপর নির্ভরশীল মৎস্যজীবী এবং মাঝিদের নিয়ে বনগাঁয় বিশেষ আলোচনা সভা বসে। ওই সভার বক্তব্য ছিল, নদী না বাঁচলে কেউ বাঁচবেন না। সুভাষের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা কবি বিভাস রায়চৌধুরী। তাঁর কথায়, ‘‘ইছামতীর উৎসমুখ খুঁজে বার করে, বুজে যাওয়া অংশ চিহ্নিত করে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন সুভাষ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর মৃত্যুতে ইছামতী তীরের বাসিন্দাদের বড় ক্ষতি হয়ে গেল।’’

Advertisement

বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ বলেন, ‘‘ইছামতী নিয়ে দিল্লি পর্যন্ত দৌড়ে গিয়েছিলেন নিতুদা। আমাদের পথ দেখানোর মানুষটা আর রইলেন না।’’ মৃত্যুর আগে পর্যন্তও নদী বাঁচানোর কাজে যুক্ত ছিলেন। বনগাঁর কবি, সাহিত্যিকদের নিয়ে ‘নীল প্রবাহ সাংস্কৃতিক সংগঠন’ গড়ে তুলেছিলেন সুভাষ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement