পুলিশকে তোপ সূর্যের

সিপিএম নেতা সালাউদ্দিন হালদারকে খুনের পরে প্রায় দু’সপ্তাহ কেটে গেলেও গ্রেফতার হয়নি কেউ। এর প্রতিবাদে রবিবার বিকালে মথুরাপুর-১ ব্লক অফিসের পাশের মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশ করল সিপিএম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৫৩
Share:

ক্ষুব্ধ: মথুরাপুরে সূর্য। নিজস্ব চিত্র

সিপিএম নেতা সালাউদ্দিন হালদারকে খুনের পরে প্রায় দু’সপ্তাহ কেটে গেলেও গ্রেফতার হয়নি কেউ। এর প্রতিবাদে রবিবার বিকালে মথুরাপুর-১ ব্লক অফিসের পাশের মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশ করল সিপিএম।

Advertisement

গত ২০ মার্চ রাত সাড়ে ৭টা নাগাদ নিজের বাড়ির সামনেই খুন হন মথুরাপুর-১ ব্লকের লালপুর পঞ্চায়েতের পূর্ব রানাঘাটা গ্রামের সিপিএম নেতা সালাউদ্দিন হালদার। পাড়ার মসজিদে নমাজ পড়তে যাওয়ার সময়ে তাঁকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনার পরে মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে ৬ জনের নামে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল পরিচালিত লালপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান।

এ দিনের সভায় ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। তাঁর অভিযোগ, ‘‘সালাউদ্দিনকে খুনের পরে পুলিশ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেফতারের কথা বলেছিল। কিন্তু এত দিন পরেও কেউ গ্রেফতার হলো না।’’ পুলিশকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘আপনাদের মান, সম্মান, লজ্জা হারিয়ে যাচ্ছে। তৃণমূলের নির্দেশে কাজ করায় আপনাদের শিরদাঁড়া সোজা থাকছে না।’’ দলীয় কর্মীদের তিনি বলেন, ‘‘ঝান্ডার লাঠি একটু মোটা রাখবেন। রাতে বাড়িতে ফেরার সময়ে খট খট আওয়াজ করলে অপরাধীরা কিছু করতে সাহস পাবে না।’’ এ দিন তিনি জানান, পুলিশকে আরও ১০ দিন সময় দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে অপরাধীরা গ্রেফতার না হলে লালপুরের গ্রাম থেকে লাগাতার আন্দোলন শুরু হবে।

Advertisement

এ দিনের সভায় অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ি, প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলির সিপিএম বিধায়ক রামশঙ্কর হালদার প্রমুখ। কান্তিবাবুর অভিযোগ, ‘‘অভিযুক্তদের সঙ্গে তৃণমূল যোগ থাকায় পুলিশ ধৃতদের ধরতে চাইছে না।’’ ঋতব্রতের অভিযোগ, ‘‘পুলিশ এখন তৃণমূলের ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। তৃণমূলের পতাকা থাকলেই সব খুন মাফ।’’ গোঘাটে সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের মার খাওয়ার ঘটনাও উঠে আসে বক্তাদের কথায়।

পুলিশ অবশ্য সিপিএমের অভিযোগ মানেনি। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, কোনও দলের কথায় প্রভাবিত হওয়ার প্রশ্নই নেই। তদন্ত চলছে। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement