Cyclone Amphan

বাঁধ যেন সরু সুতো, আশঙ্কায় বাসিন্দারা

এলাকার বাসিন্দাদের আশঙ্কা, বিশপুর এলাকায় বাঁধ অবিলম্বে মেরামত করা না হলে ভাসবে এলাকা।

Advertisement

নবেন্দু ঘোষ

হিঙ্গলগঞ্জ শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২০ ০৩:২২
Share:

বিপর্যস্ত: এই ক্ষত সারবে কবে, জানেন না গ্রামের মানুষ। পাথরপ্রতিমায় ছবিটি তুলেছেন দিলীপ নস্কর

আমপানের দাপট সহ্য করে গৌড়েশ্বর নদীর ইটের বাঁধের এখন কঙ্কালসার চেহারা। আগে যে বাঁধ-পথে বাইক চলত, এখন সেখান দিয়ে হাঁটাই দায়। সামনেই পূর্ণিমা। দুর্বল বাঁধ ভরা কোটালের দাপট রুখতে পারবে কিনা, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় মানুষ। বাঁধ রক্ষার লড়াই চালাচ্ছেন কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা। এরই মধ্যে রূপমারি পঞ্চায়েতে বাঁধ ভেঙে গৌড়েশ্বরের জল এলাকা ভাসিয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের আশঙ্কা, বিশপুর এলাকায় বাঁধ অবিলম্বে মেরামত করা না হলে ভাসবে এলাকা।

Advertisement

উত্তর বিশপুরের বাসিন্দা হাজারি বর, সঞ্জয় মাখালরা বললেন, ‘‘গৌড়েশ্বরের বাঁধের যা হাল হয়েছে, তাতে ফের বাঁধ ভাঙলে আর নিস্তার নেই। ঝড়ে এমনিতেই ভেসে গিয়েছি আমরা। বাঁধ ভাঙলে বাঁচার আর কোনও আশা থাকবে না।’’ এমনিতেই ডাঁসা নদীর বাঁধ ভেঙে আমপানে প্লাবিত হয়েছে বিশপুরের বেশ কয়েকটি গ্রাম। তার উপরে গৌড়েশ্বরের বাঁধ ভাঙলে তলিয়ে যাবে আরও কয়েকটি গ্রাম।

এলাকার বাসিন্দারা জানালেন, বুধবার আপমান হানা দেওয়ার আগে থেকেই গৌড়েশ্বরের জল ফুলে-ফেঁপে উঠতে শুরু করেছিল। নদীর জল ঝাপটা মারতে শুরু করেছিল বাঁধের উপরে। তারই দাপটে বাঁধের বেশিরভাগ অংশ জলে তলিয়ে যায়। বর্তমানে সেই বাঁধের এখন কঙ্কালসার দশা। স্থানীয় বাসিন্দা হরিপদ জানা, বীরেন্দ্রনাথ জানা, আনন্দ দাসরা বলেন, ‘‘বাঁধের অবস্থা বহু দিন ধরেই খারাপ ছিল। তাই বুধবার ঝড় মাথায় নিয়ে রাত জেগে বসেছিলাম। মনে হচ্ছিল, এই বুঝি ভাঙল বাঁধ। এক একটা বড় ঢেউ আসছে, আর বাঁধের একটা অংশ টেনে নিয়ে গিয়ে ফেলছে নদীতে। বাঁধ ছাপিয়ে জল ঢুকে পড়ল গ্রামে। ঝড় যদি আরও কিছুক্ষণ চলত, তা হলে বাঁধ আর থাকত না।”

Advertisement

বাঁধ ভাঙলে বিশপুর পঞ্চায়েতের পশ্চিম খেজুরবেড়িয়া, ধানিখালি, বায়লানি ও বিশপুর গ্রাম প্লাবিত হবে বলে আশঙ্কা। সব মিলিয়ে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সে ক্ষেত্রে। বিশপুর লাগোয়া রূপমারি পঞ্চায়েতে ডাঁসা নদীর বাঁধ ভেঙে বিশপুর পঞ্চায়েতের ধানিখালি, পশ্চিম খেজুরবেড়িয়া ইতিমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। বিশপুর পঞ্চায়েতের ইঞ্জিনিয়ার দুলু দত্ত বলেন, “বাঁধের অবস্থা সংক্রান্ত রিপোর্ট দ্রুত সেচ দফতরকে জানানো হবে। যাতে সেচ দফতর অবিলম্বে কাজ শুরু করে, তা দেখা হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন