ঝড় উঠল সোশ্যাল মিডিয়ায়

গোবরডাঙার গ্রামীণ হাসপাতালের বেহাল পরিস্থিতির জন্য শহরবাসী ও সংলগ্ন এলাকার কয়েক লক্ষ মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। তাঁদের এই করুণ দশা বোঝাতে বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের সিনেমা ‘মন্দ মেয়ের উপাখ্যান’ থেকে একটি দৃশ্য ফেসবুকে আপলোড করা হয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, গোবরডাঙাবাসীদের বর্তমান অবস্থা।

Advertisement

সীমান্ত মৈত্র

গোবরডাঙা  শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৭ ০৪:২৭
Share:

প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে, ‘‘গোবরডাঙা হাসপাতাল হবে না।’’—এর প্রতিবাদে সোশ্যাল মিডিয়াতে (ফেসবুক ও হোয়াটস অ্যাপ) রীতিমতো ঝড় তুলেছেন গোবরডাঙাবাসী। জনমত তৈরির কাজও শুরু হয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার ব্যারাকপুরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে এলাকায় হাসপাতাল তৈরি নিয়ে পুরপ্রধানের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন উত্তরের ভিডিও ক্লিপিং ফেসবুকে আপলোডও করা হয়েছে। সেখানে বহু মানুষ মন্তব্য করছেন। অসীম সরকার, সায়নময় মুখোপাধ্যায়েরা বলেন, ‘‘শুধু ‘গোবরডাঙা হাসপাতালের জন্য’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। যেখানে জনমত তৈরি করা হচ্ছে হাসপাতালের দাবিতে। ওই গ্রুপে একটি হাসপাতালের ছবিও দেওয়া হয়েছে।’’

গোবরডাঙার গ্রামীণ হাসপাতালের বেহাল পরিস্থিতির জন্য শহরবাসী ও সংলগ্ন এলাকার কয়েক লক্ষ মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। তাঁদের এই করুণ দশা বোঝাতে বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের সিনেমা ‘মন্দ মেয়ের উপাখ্যান’ থেকে একটি দৃশ্য ফেসবুকে আপলোড করা হয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, গোবরডাঙাবাসীদের বর্তমান অবস্থা।

Advertisement

কী রয়েছে ওই ভিডিওতে?

সেখানে দেখা যাচ্ছে, তাপস পাল অসুস্থ এক বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। গাড়ি থামিয়ে চালক এক মেয়ে ও ছেলের কাছে জানতে চাইলেন, এখানে কাছাকাছি কোথাও হাসপাতাল আছে? মেয়েটি মাথা নেড়ে জানান না। তাপস প্রশ্ন করেন অসুস্থ হলে কোথায় নিয়ে যাও? ছেলেটির জবাব, ‘শ্মশানে।’ বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত পোস্টটি ১৫৮ জন শেয়ার করেছেন। ফেসবুকের পাশাপাশি ভিডিওটি হোয়াটস অ্যাপেও ছড়িয়ে পড়ে।


ফেসবুকে প্রতিবাদ।

ফেসবুকে এই পেজে কেউ মন্তব্য করেছেন, হাসপাতাল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পরিষ্কার তথ্য নেই। কেউ লিখেছেন, ‘‘শুধু চেয়ারম্যানকে নয় গোটা গোবরডাঙাবাসীকে অপমান করা হয়েছে।’’ আবার কেউ লিখেছেন, ‘‘ক্ষমতা মানুষের অতীতকে ভুলিয়ে দেয়।’’

স্থানীয় বাসিন্দা পেশায় স্কুল শিক্ষিকা অমৃতা মুখোপাধ্যায় ফেসবুকে পোস্ট করেছেন নিজের মতামত। অমৃতা বলেন, ‘‘যেখানে হাসপাতাল তৈরি হয়ে পড়ে আছে সেখানে কেন হাসপাতাল চালু হবে না। এখানে তো হাসপাতাল তৈরির জন্য নতুন করে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে না বা পরিকাঠামোও বানাতে হবে না।’’

ওই দিনের বৈঠকে প্রশাসনের শীর্ষস্তর যেভাবে পুরপ্রধানের বক্তব্য নিয়ে তির্যক মন্তব্য করেছে তা নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তার জন্যও ফেসবুকে প্রতিবাদ করা হচ্ছে বলে জানান এলাকার লোকজন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন