ব্লকের বাগদা এলএস কো-অপারেটিভ লিমিটেডের নির্বাচনে জয়ী হল তৃণমূল। বহু বছর পর এ বারই এই কৃষি উন্নয়ন সিমিতিটি বামেদের হাতছাড়া হল। যদিও সিপিএমের পক্ষ থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোট, প্রার্থীদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে ভোট গ্রহণকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে। পুলিশের দাবি, বামেরা লিখিত ভাবে কোনও ছাপ্পার অভিযোগ করেনি। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূলও। তাদের দাবি, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট হয়েছে।
সোমবার ওই সমবায় সমিতির নির্বাচন ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা ছিল। সিআই গাইঘাটা পার্থ সান্যালের নেতৃত্বে প্রায় ৬০ জন পুলিশকর্মী নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। সমবায় সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট আসন ৫৭। বামেরা প্রার্থী দিয়েছিল ৫৪টি আসনে। সমবায়টিতে ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১৪০০। ভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল ৪৬টি আসন পেয়ে ক্ষমতা দখল করেছে। বামেরা পেয়েছে ১১টি আসন। প্রসঙ্গত, বিধানসভা, লোকসভা, পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল বাগদাতে ভাল ফল করলেও এই সমবায় এতদিন তাদের দখলে ছিল না। দলীয় সূত্রের খবর, এ বার তাই তৃণমূল ওই সমবায়ের দখল নিতে আসরে নেমে পড়েছিল।
সিপিএমের বাগদা লোকাল কমিটির সম্পাদক সুনীল কর বলেন, ‘‘নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে। ছাপ্পা দেওয়া হয়েছে। ভয় দেখিয়ে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করানো হয়েছে।’’ বাগদা ব্লক তৃণমূল সভাপতি তুলসী বিশ্বাস বলেন, ‘‘এই প্রথম মানুষ ওই সমবায়ে শান্তিতে ভোট দিতে পেরেছেন। এতদিন সিপিএমের সন্ত্রাসের জেরে মানুষ ভোট দিতে পারতেন না। সিপিএম হেরে যাওয়ার মিথ্যে অভিযোগ তুলছে।’’ জেলা তৃণমূলের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘মানুষ এখনও সিপিএমকে মেনে নিতে পারছে না। তৃণমূলের পক্ষেই তারা রায় দিচ্ছেন। সিপিএম মিথ্যে চিৎকার করছে।’’