কৃতী: হাসান আলি খান
অভাবের সংসারে নিজের লেখাপড়া চালানোর পাশাপাশি বাবার সঙ্গে খেতের কাজও করেছে সে। নিজেদের জমি নেই। সামান্য একফালি জমি ভাগে নিয়ে বাবা সামসুর হক খান চাষবাস করেন। আর লোকের জমিতে খাটেন। হাত লাগায় ছেলেও। এই অবস্থাতেও বনগাঁর ধর্মপুকুরিয়ার হাসান আলি খানের রেজাল্ট তাক লাগানোর মতো। মনিগ্রাম হাইস্কুল থেকে সে এ বার মাধ্যমিকে ৬২০ নম্বর পেয়ে স্কুলে প্রথম স্থান পেয়েছে।
কিন্তু তাতেও চিন্তা যাচ্ছে না। লেখাপড়ার খরচ কী ভাবে আসবে, তা নিয়ে চিন্তা। হাসানের দু’জন গৃহশিক্ষক ছিল। সে জন্য মাসে খরচ হতো সাড়ে চারশো টাকা। সেটা রীতিমতো কষ্ট করে জোগাতে হতো পরিবারকে। তবে স্কুলের শিক্ষকেরা তাকে খুবই সাহায্য করেছেন বলে জানায় ছেলেটি।
ভবিষ্যতে বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চায় হাসান। কিন্তু তাতে পড়ার খরচ বেশি। হাসান বলে, ‘‘প্রয়োজনে আরও বেশি করে মাঠে কাজ করব। টুকটাক টিউশন পড়াব। যে করেই হোক আমাকে শিক্ষক হতেই হবে।’’
বলতে বলতে চোয়াল শক্ত হয়ে ওঠে ছেলেটির।
হাসানের সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর: ৯৭৩২৬০১৯৮১