বিজেপিকে ঠেকাতে প্রস্তুতি শুরু তৃণমূলের

রবিবার গোবরডাঙা পুরসভাতে বনগাঁ লোকসভা নিয়ে দলীয় প্রস্তুতি সভা করে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

Advertisement

সীমান্ত মৈত্র

বনগাঁ শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:৪৪
Share:

রবিবার গোবরডাঙা পুরসভাতে বনগাঁ লোকসভা নিয়ে দলীয় প্রস্তুতি সভা করে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রতীকী ছবি।

আসন্ন লোকসভা ভোটে মতুয়াদের সমর্থন নিজেদের অনুকূলে রাখতে পদক্ষেপ করলেন উত্তর ২৪ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রের খবর, এখন থেকে ভোট পর্যন্ত মতুয়া ঠাকুরবাড়ি ও মতুয়া ভক্তদের মধ্যে তৃণমূলের প্রচারের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করবেন জেলা দলের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

Advertisement

রবিবার গোবরডাঙা পুরসভাতে বনগাঁ লোকসভা নিয়ে দলীয় প্রস্তুতি সভা করে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। সেখানেই জেলা নেতৃত্বের তরফে জ্যোতিপ্রিয়কে ওই দায়িত্ব দেওয়া হয়। জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘‘বনগাঁর সাংসদ মমতা ঠাকুর ও মতুয়াদের মধ্যে যাঁরা আমাদের সমর্থক তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে রণনীতি ঠিক করা হবে।’’

আসন্ন লোকসভা ভোটে বনগাঁ কেন্দ্রটিকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। সেই লক্ষ্যে মতুয়াদের মন পেতে সঙ্ঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুরকে সামনে রেখে তাঁরা জোর প্রস্তুতি নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের জেলা সভাপতির ওই দায়িত্ব নেওয়াটা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

Advertisement

আসন্ন লোকসভা ভোটে বনগাঁ কেন্দ্রের জয় পরাজয়ের ক্ষেত্রে মতুয়াদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছ। সে জন্য মতুয়াদের সমর্থন নিজেদের অনুকূলে টানতে ইতিমধ্যেই তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতাও শুরু হয়েছে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মতুয়াদের পীঠস্থান ঠাকুরনগরে সভা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সভায় মতুয়াদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। যা নিয়ে চিন্তিত তৃণমূল নেতৃত্বও।

এ বার ভোটে বিজেপিকে ধাক্কা দিতে এ দিন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পাঁচটি বিধানসভা এলাকায় থাকা দলীয় সমস্ত অঞ্চল ব্লক শহর ও বিধানসভা কমিটির কাজকর্ম বন্ধ করে দেওয়া হল। এখন থেকে নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন পর্যন্ত সমস্ত দলীয় কাজকর্ম পরিচালনা করবে অঞ্চল নির্বাচন কমিটি ও বিধানসভা নির্বাচন কমিটি।

কেন এমন সিদ্ধান্ত?

দলীয় একটি সূত্র জানাচ্ছে, ভোটে প্রচার প্রক্রিয়া নিয়ে যাতে কোনও কোন্দল তৈরি না হয় সে কারণেই নির্বাচন কমিটি তৈরি করে। দলীয় কমিটিগুলোও কাজকর্ম আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হল। পাশাপাশি ভোটের জন্য বনগাঁতেও দলের একটি অস্থায়ী জেলা কার্যালয় তৈরি করা হচ্ছে। বনগাঁ লোকসভার সাতটি বিধানসভার মধ্যে দু’টি নদিয়া জেলাতে (কল্যাণী ও হরিণঘাটায়)। জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘‘মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলেও সেখানেও একই কমিটি তৈরি করা হবে।’’ বনগাঁ লোকসভাকে তৃণমূল নেতৃত্ব আলাদা গুরুত্ব দিচ্ছে, তা তাঁদের প্রস্তুতি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। যা দেখে বিজেপির এক নেতার কটাক্ষ, ‘‘আমরা তাহলে তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন