অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা

চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

টাকা দিলে মিলবে সরকারি চাকরি— এমনই প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠল বাগদা ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতির বিরুদ্ধে। সোমবার বাগদা ব্লকের চার বাসিন্দা হিবজুর রহমান মণ্ডল নামে ওই নেতার বিরুদ্ধে বাগদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাগদা শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৮ ০১:২৫
Share:

হিবজুর রহমান মণ্ডল

টাকা দিলে মিলবে সরকারি চাকরি— এমনই প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠল বাগদা ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতির বিরুদ্ধে। সোমবার বাগদা ব্লকের চার বাসিন্দা হিবজুর রহমান মণ্ডল নামে ওই নেতার বিরুদ্ধে বাগদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বনগাঁর এসডিপিও অনিল রায় বলেন, ‘‘অভিযোগ খতিয়ে দেখে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে।’’

Advertisement

অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে হিবজুর দাবি করেছেন, দলেরই কিছু লোক শত্রুতা করে তাঁর নামে মিথ্যে অভিযোগ করিয়েছেন।

স্কুলে শিক্ষকতা, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর-সহ বিভিন্ন সরকারি দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে এলাকার চার বাসিন্দার কাছ থেকে হিবজুর প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ওই চার জনের অভিযোগ, চাকরি দেওয়া হবে বলে টাকা নিলেও ওই যুব নেতা তাঁদের দীর্ঘ দিন ধরে ঘোরাচ্ছিলেন। চাকরি মেলেনি। টাকাও ফেরত পাচ্ছিলেন না কেউ। শেষে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হন সকলে।

Advertisement

স্থানীয় বাগি গ্রামের বাসিন্দা ইব্রাহিম মণ্ডল পুলিশকে জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে তিনি তাঁর মেয়ে সাবিয়া মণ্ডল ও ভাইপো আশরাফুল মণ্ডলকে শিক্ষকতার চাকরি দেবেন বলে কথা দিয়েছিলেন হিবজুর। সে জন্য ৮ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ওই নেতাকে দেন ইব্রাহিম। স্থানীয় ভবানীপুরের বাসিন্দা রাজা রামমোহন সরকার তাঁর ভাইয়ের চতুর্থ শ্রেণির পদে চাকরির জন্য ১ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। সুশান্ত অধিকারী ও পরিতোষ দাস নামে দুই ব্যক্তি পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁদের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরে চাকরি করে দেওয়া হবে বলে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ও ৩ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন হিবজুর।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে বাগদার বিধায়ক দুলাল বরকে গুলি করার অভিযোগ উঠেছিল হিবজুরের বিরুদ্ধে। মামলাটি এখন বিচারাধীন। প্রতারণার অভিযোগ প্রসঙ্গে হিবজুরের বক্তব্য, ‘‘কারা আমার নামে অভিযোগ করেছেন জানি না। তাঁদের কাউকে আমি চিনিও না।’’ তাঁর দাবি, ‘‘দলেরই কিছু লোক শত্রুতা করে কাউকে দিয়ে সাজানো অভিযোগ করিয়ে আমাকে ফাঁসাতে চাইছে।’’

জেলা যুব তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি তথা বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘হিবজুরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সত্যি প্রমাণ হলে দলীয় ভাবে পদক্ষেপ করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন