চার পঞ্চায়েতে সভাপতি তৃণমূলের

চারটি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচন হল বৃহস্পতিবার। এ দিন হিঙ্গলগঞ্জে সুদীপ মণ্ডল, স্বরূপনগরে ঝুমা সাহা, সন্দেশখালিতে মানসী সামন্ত এবং হাসনাবাদে আবুতালেব গাজি সভাপতি হন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৬ ০২:৩৪
Share:

চারটি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচন হল বৃহস্পতিবার। এ দিন হিঙ্গলগঞ্জে সুদীপ মণ্ডল, স্বরূপনগরে ঝুমা সাহা, সন্দেশখালিতে মানসী সামন্ত এবং হাসনাবাদে আবুতালেব গাজি সভাপতি হন। প্রত্যেকেই তৃণমূলের। মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জ এবং স্বরূপনগর সিপিএমের দখলে ছিল। সম্প্রতি এই দুটি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে তৃণমূলের পক্ষে অনাস্থা আনা হয়। হিঙ্গলগঞ্জে ভোটাভুটিতে ২৬-০ ব্যবধানে তৃণমূলের সুদীপবাবু জয়ী হন। আবার স্বরূপনগরে তৃণমূলের ঝুমাদেবী ১৭-০ ব্যবধানে বিরোধীদের পরাজিত করেন। সন্দেশখালি এবং হাসনাবাদে দল বিরোধী কাজের জন্য ওই সমিতির তৃণমূলের সভাপতিদের বিরুদ্ধে দলের পক্ষেই অনাস্থা আনা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয়বাবু। দলের কার্যকরি সভাপতি নারায়ণ গোস্বামী এবং জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি পার্থ ভৌমিক। এ দিন হাবড়া ১-র বেড়গুম পঞ্চায়েতটিতে সিপিএম ৮টি আসন এবং তৃণমূল ৭টি আসনে জয়ী হয়েছিল। সম্প্রতি তৃণমূলের পক্ষে সিপিএমের প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনাস্থা আনা হয়। এ দিন ভোটাভুটিতে ১৩-০ ব্যবধানে অপসারিত হয়েছেন সিপিএমের প্রধান। এই জেলার ২২টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে তৃণমূলের দখলে রয়েছে ২০টি। কিছুদিনের মধ্যে বাদুড়িয়া ও দেগঙ্গায় অনাস্থা এনে ওই পঞ্চায়েত সমিতিও দখল করতে চলেছে তৃণমূল। জেলায় ২০০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ইতিমধ্যে তৃণমূলের অধীনে রয়েছে ১৬৫টি। সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিরোধীদের আরও ৯টি পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হবে বলে জানান জ্যোতিপ্রিয়বাবু। মৌসুনি হাতছাড়া হল সিপিএমের। ওই পঞ্চায়েতের নতুন প্রধান হিসেব নির্বাচিত হলেন আদালত খাঁ। এর আগে সিপিএম পরিচালিত ওই পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন মহম্মদ ইলিয়াস। সিপিএমের ৮ জন এবং তৃণমূলের ৭ জন সদস্য ছিলেন। বাগডাঙার সিপিএমের সদস্য আদালত খাঁ তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছিল। ভোটাভুটিতে হেরেও যান তিনি। সিপিএম সূত্রে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর আদালতকেই প্রধান করার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। এরপরেই তিনি দল ছেড়ে যোগ দেন তৃণমূলে। এরপর বৃহস্পতিবার ছিল প্রধান নির্বাচন তাতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে নতুন প্রধান হন। এ দিন সাগরের তৃণমূল বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা এবং তৃণমূলের নিয়ন্ত্রণে থাকা নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্রীমন্ত মালি হাজির ছিলেন তাঁদের দাবি, ধীরে ধীরে উন্নয়নের হয়ে সওয়াল করছে মানুষ। মৌসুনিতে বিদ্যুৎ নেই, কংক্রিটের বাঁধ নেই। এ সব কাজ হচ্ছিল না। এ বার জোর কদমে কাজ এগোবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন