বেহাল: এই রাস্তার কাজ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। ছবি: দিলীপ নস্কর।
কয়েক বছর আগে ইট পাতা হয়েছিল। সংস্কারের অভাবে ইট উঠে যায়। ওই রাস্তা এবড়ো-খেবড়ো রাস্তা ঢালাই করার জন্য অনুমোদিত টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের প্রধানের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি মথুরাপুর ১ ব্লকের লালপুর পঞ্চায়েতের। বিডিও মুজিবর রহমান বলেন, ‘‘প্রধান কাঞ্চনবিবি জমাদার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ শনিবার পেয়েছি। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামের যাতায়াতের ৭টি ছোটবড় রাস্তা ঢালাই করার জন্য ১০০ দিন কাজের প্রকল্পের মাধ্যমে কয়েক লক্ষ টাকা অনুমোদন হয়। কিন্তু ওই পঞ্চায়েতের ৩ নম্বর সংসদের সিপিএম সদস্য রেহেনা খানের অভিযোগ, ‘‘এলাকার কোন কোন রাস্তার কাজ হবে, তা না জানিয়ে প্রধান দুর্নীতি করেছেন। এমনকী একাধিক রাস্তার কাজ না করে টাকা তুলে নিয়েছেন। জবকার্ড নেই এমন লোকেদের নামেও টাকা তোলা হয়েছে।’’ একই অভিযোগ গ্রামবাসী মনিরুল লস্কর ও মইদুল লস্করদেরও। তাঁদের দাবি, জেলা পরিষদের টাকায় রাস্তা তৈরি হয়ে যাওয়ার পরেও আবার সেই কাজের জন্য টাকা তোলা হয়েছে। পঞ্চায়েতের একাংশ কর্মীও এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বলে তাঁদের অভিযোগ।
পঞ্চায়েত প্রধান কাঞ্চনবিবি জমাদার অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘সুপারভাইজারের মাধ্যেমে ওই সমস্ত কাজ করা হয়েছে। জবকার্ড নিয়ে কোনও দুর্নীতি হয়নি। বিরোধীরা মিথ্যা প্রচার করছে।’’