কাজ হচ্ছে রোজই। পণ্যবাহী ট্রাক থেকে মালপত্রও ওঠানোনামানো হচ্ছে। কিন্তু বেতন পাচ্ছেন না শ্রমিকেরা।
নোট বাতিলের প্রভাব পড়েছে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর পেট্রাপোলে কর্মরত শ্রমিকদের দৈনিন্দিন রুজি রুটির উপরেও। বেতন না মেলায় সংসার চালাতে নাজেহাল হচ্ছেন শ্রমিকেরা। ক্ষোভ বাড়ছে তাঁদের মধ্যে। ইতিমধ্যে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু এ ভাবে চলতে থাকলে যে কোনও মুহূর্তে বন্দরে কাজ বন্ধ করে দিতে পারেন তাঁরা।
বন্দর এলাকায় ওই কাজে যুক্ত আছেন প্রায় এক হাজার শ্রমিক। তৃণমূল প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনের নেতা জামালআলি মণ্ডল জানান, সংগঠনের শ্রমিক সংখ্যা ৪০০ জন। শ্রমিকদের সপ্তাহে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা বেতন দেওয়া হয়। যে সংস্থার অধীনে শ্রমিকেরা কাজ করেন তারা চেকে বেতন পাঠাচ্ছে।
ব্যাঙ্ক থেকে তা ভাঙানো যাচ্ছে না। কারণ ব্যাঙ্ক থেকে ১০ হাজারের বেশি টাকা দেওয়া হচ্ছে না। শ্রমিকেরা এক সপ্তাহের বেতন পেয়েছেন মাত্র। তিন সপ্তাহের বেতন একনও বাকি।
শ্রমিকদের কথায়, ‘‘আমরা প্রতি সপ্তাহে বেতন পাই। তা দিয়ে সংসার চলে। এখন বেতন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাড়িতেও আশান্তি শুরু হয়েছে।’’
বন্দর এলাকায় তৈরি হওয়া নতুন সুসংহত চেকপোস্টের মধ্যে শ্রমিকেরা এক ট্রাক থেকে অন্য ট্রাকে মাল খালাসের কাজ করেন। তাঁদের কথায়, ‘‘সরকারের উচিত আমাদের কাজকে অত্যাবশক কাজ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে যাতে বেশি টাকা তোলা যায় তার ব্যবস্থা করা।’’