বক্তব্য রাখছেন টিএমসিপির রাজ্য সভানেত্রী জয়া দত্ত।
কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ঘিরে কোথাও কোথাও ‘বেনোজল’ অশান্তি তৈরি করছে বলে দাবি করলেন টিএমসিপি-র রাজ্য সভানেত্রী জয়া দত্ত। তাঁর আরও দাবি, বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলিকে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা না দেওয়ার জন্য টিএমসিপি কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন শুরু হতেই বেশ কিছু কলেজে গোলমাল বেধেছে। বিরোধী দলের দু’জন বিধায়কও ইতিমধ্যে আক্রান্ত বলে অভিযোগ। কিছু জায়গায় আবার শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হচ্ছে। কিন্তু রায়দিঘিতে শুক্রবার সংগঠনের একটি সম্মেলনে এসে জয়া দাবি করেন, ‘‘বছরের সব দিন আমরা কলেজে ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে থাকি। এসএফআই-সহ বাকি ছাত্র সংগঠনগুলিকে সারা বছর ক্যাম্পাসে দেখা যায় না। কিন্তু কলেজের ভোটের সময়ে বাবা-কাকাদের এনে গোলমাল পাকায়!’’ তাঁর বক্তব্য, তাঁরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই ছাত্র সংসদ নির্বাচন চান। কিন্তু কলেজের গোলমালে টিএমসিপি-র নাম বারবার জড়াচ্ছে কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে জয়ার দাবি, ‘‘কিছু বেনোজল কলেজে গোলমাল পাকিয়ে টিএমসিপি-র নামে দোষ চাপাচ্ছে।’’ মথুরাপুর-২ ব্লক টিএমসিপি-র উদ্যোগে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রায়দিঘির বিধায়ক দেবশ্রী রায়, ছাত্র সংগঠনের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি অমিত সাহা প্রমুখ।
টিএমসিপি নেত্রী এমন দাবি করলেও বিরোধীরা অবশ্য শাসক পক্ষকেই দায়ী করছে। দল-মত-রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে কলেজে গোলমাল থামাতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে এ দিনই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। তাঁর বক্তব্য, ‘’২৩ মাস পরে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হচ্ছে। বিরোধীরা তো বটেই, শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের সমর্থকেরাও নিরাপদ নন! এমনিতেই শিক্ষায় নৈরাজ্য চলছে। এ ভাবে চললে শিক্ষার পরিবেশ বলে আর কিছু অবশিষ্ট থাকবে না!’’
ছবি: দিলীপ নস্কর।