ফরিদা বিবি
স্বামীকে খুনের ঘটনায় দুই প্রেমিকই সাহায্য করেছিল ফরিদাকে, প্রাথমিক জেরার পরে এ কথা জানিয়েছে পুলিশ।
ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামী ফকির আহমেদের গলা টিপে মেরেছিল ফরিদার প্রাক্তন প্রেমিক ইব্রাহিম মণ্ডল। পুলিশি জেরায় এ কথা জানিয়েছে ফরিদা। বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার কে শবরী কুমার বলেন, ‘‘ফকির খুনে জড়িত ফরিদা বিবি, সাহিদ মণ্ডল, ইব্রাহিম মণ্ডল এবং সাহিদা বিবিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’
পুলিশ জানিয়েছে, গত শনিবার বসিরহাটের মাটিয়া থানার ঘোড়ারাস বেলতলা এলাকার ফকির খুন হন। রবিবার সকালে বাড়ির কাছে রাস্তার পাশ থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। স্বামী খুনে অভিযুক্ত স্ত্রী ফরিদাকে এলাকাবাসী গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালত থেকে সাতদিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেয়।
পুলিশের দাবি, জেরায় ভেঙে পড়ে ফরিদা। সে জানিয়েছে, স্বামী মারধর করত। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যারও চেষ্টা করেছিল সে। ঘটনার রাতেও ফকির তাকে মারধর করে। এরপরেই খুনের পরিকল্পনা করে ফরিদা। ফকির ঘুমিয়ে পড়লে প্রথমে পুরনো প্রেমিক ইব্রাহিমকে জানায়। সে বাড়ির বাইরে নজর রাখতে রাজি হয়। সাহিদকে মোবাইলে ফোন করে সাহায্য চায় ফরিদা। সে বাড়িতে এসে ফকিরকে গলা টিপে খুন করে বলে দাবি পুলিশের।
পুলিশ জানায়, এরপরে ফরিদার প্রাক্তন ও বর্তমান দুই প্রেমিক মিলে ফকিরের দেহ ঘর থেকে বের করে রাস্তার পাশে জলাশয়ে ফেলে আসে। দেহের পাশে তার সাইকেলটিও ফেলে রাখা হয়। পথ দুর্ঘটনা বলে বিষয়টি সাজানোর চেষ্টা করেছিল তারা, এমনটাই দাবি পুলিশের।
‘আদি’ ও ‘নব্য’— দুই প্রেমিককে যে ভাবে খুনের কাজে ব্যবহার করেছে ওই মহিলা, তা দেখে বিস্মিত দুঁদে পুলিশ অফিসারেরাও।