দুর্ঘটনার পরে। শনিবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
বেলা পৌনে ১১টা। পেট্রাপোল থেকে আসা একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পর পর দু’টি যাত্রী বোঝাই ভ্যানে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক মহিলা ও এক ভ্যান চালকের। এরপরেই ট্রাকটি উল্টে পড়ে রাস্তার ধারের দু’টি বাড়ির উপরে।
শনিবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁর যশোর রোড বা ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়কে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম মলিনা বিশ্বাস (৫৫)। বাড়ি স্থানীয় হরিদাসপুর এলাকায়। মৃত ভ্যান চালকের পরিচয় জানা যায়নি। জখম চারজন বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বাড়িগুলি ভেঙে পড়েছে ঠিকই। কিন্তু সে সময়ে বাড়িতে কেউ ছিলেন না। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে পেট্রাপোল থানার পুলিশ ও বনগাঁর এসডিপিও অনিল রায়। ক্রেন দিয়ে ট্রাকটি তোলা হয়। ওই ঘটনায় সড়ক দিয়ে কিছুক্ষণ যান চলাচল বন্ধ ছিল।
অনিলবাবু বলেন, ‘‘একটি খুনের মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। চালক পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’ চিকিৎসকেরা জানান, ইস্রাফিল মণ্ডল, সুতপা কর, তপতী কর এবং বাসন্তী মাঝি নামে ওই চারজনের কারও মাথায়, কারও ঘাড়ে-বুকে-পেটে আঘাত লেগেছে।
দুর্ঘটনার পরে এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ছড়ায়। তাঁদের দাবি, সড়ক দিয়ে বেপরোয়া ভাবে ট্রাক যাতায়াতের ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রাকগুলি খালাসিরা চালায় বলেও অভিযোগ।
ভেঙে পড়া বাড়ির মালিক অবিনাশ দাস ও কাজল দাস জানান, ‘‘ভ্যাগিস ঘরে ছিলাম না। থাকলে তো মারা পড়তাম। প্রশাসনের কাছে আবেদন করব, বাড়ি মেরামত করে দেওয়া হোক।’’
এ দিন আরও একটি দুর্ঘটনায় ইট-বোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় জখম হয়েছেন দুই ব্যক্তি। হাবরার সলুয়া এলাকায় হাবরা-মছলন্দপুর বাইপাশ সড়কের ঘটনা। ওই ট্রাকের ধাক্কায় রাস্তার পাশের দু’টি বিদ্যুতের খুঁটিও ভেঙে গিয়েছে। জখম ব্যক্তিদের স্থানীয় বাওগাছি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ট্রাকটি আটক করেছে।