Violence

তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, ফের উত্তপ্ত ক্যানিং

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দীর্ঘ দিন ধরেই এই এলাকার যুব তৃণমূল নেতা ইন্দ্রজিৎ সর্দারের সঙ্গে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি খতিব সর্দারের বিবাদ লেগে রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ক্যানিং শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২০ ০২:৫৮
Share:

ঘটনাস্থলে পুলিশ বাহিনী।—নিজস্ব চিত্র।

তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়ায় ক্যানিংয়ের ইটখোলা পঞ্চায়েতের গোলাবাড়ি বাজারে। এই ঘটনায় দু’পক্ষের কমপক্ষে আটজন আহত হয়েছেন। ঘটনার খবর পেয়ে ক্যানিং থানার বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দীর্ঘ দিন ধরেই এই এলাকার যুব তৃণমূল নেতা ইন্দ্রজিৎ সর্দারের সঙ্গে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি খতিব সর্দারের বিবাদ লেগে রয়েছে। দিন পাঁচেক আগেও দু’পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। বোমাবাজি হয়। গুলি চলে বলেও অভিযোগ। পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছিল। ঘটনার পর এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই আবারও সংঘর্ষ বাধে শুক্রবার সকালে।

যুব তৃণমূলের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই খতিবের অনুগামীরা যুব তৃণমূলের লোকজনের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে। রাতে ক্যানিং থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু শুক্রবার সকালে আবারও গোলাবাড়ি বাজারে যুব তৃণমূল কর্মীদের উপরে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে খতিবের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি, ইট ছোড়াছুড়ি হয়। বোমাবাজি ও গুলির লড়াই হয় বলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। যদিও পুলিশ গুলি চলার কথা অস্বীকার করেছে।

Advertisement

খতিবের দাবি, “এই ঘটনায় রাজনীতি নেই। বাজারে আনাজ কেনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সামান্য মারামারি হয়েছে। পারিবারিক বিবাদ থেকেই গন্ডগোলের সুত্রপাত।’’ ইন্দ্রজিৎ পাল্টা বলেন, ‘‘এলাকায় যুব তৃণমূল দল করলেই খতিব ও তাঁর লোকেরা হামলা করছে। এ দিনও পরিকল্পিত ভাবে খতিবের লোকেরা যুব তৃণমূল কর্মীদের উপরে হামলা করেছে।”

ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ দিন সকালে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ালে বারুইপুর পুলিশ জেলার ডিএসপি (ডিইবি) মির্জা মির কাশিমের নেতৃত্বে বিশাল বাহিনী এলাকায় এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ডিএসপি বলেন, “দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতি, ইট ছোড়াছুড়ি হয়েছে। ঘটনায় সাত-আটজন আহত হয়েছে। দু’পক্ষের সাতজন গ্রেফতার হয়েছে। নতুন করে উত্তেজনা না ছড়ায়, সে কারণে পুলিশি টহলদারি চলছে।” এ দিনের ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানা নেই বলে দাবি করেছেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন