সিপিএমের নির্বাচনী কার্যালয় দখলের অভিযোগ

সিপিএমের নির্বাচনী কার্যালয় থেকে দলীয় পতাকা-ফেস্টুন-ফ্লেক্স ছিঁড়ে রাতের অন্ধকারে তৃণমূল প্রার্থীর ফেক্স-ফেস্টুন ও দলের পতাকা লাগিয়ে কার্যালয় দখলের অভিযোগ উঠল। রবিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে। ওই ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী মায়া ঘোষ সোমবার সকালে বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বনগাঁ শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০১৫ ০১:৪৪
Share:

এই সেই কার্যালয়। —নিজস্ব চিত্র।

সিপিএমের নির্বাচনী কার্যালয় থেকে দলীয় পতাকা-ফেস্টুন-ফ্লেক্স ছিঁড়ে রাতের অন্ধকারে তৃণমূল প্রার্থীর ফেক্স-ফেস্টুন ও দলের পতাকা লাগিয়ে কার্যালয় দখলের অভিযোগ উঠল।

Advertisement

রবিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে। ওই ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী মায়া ঘোষ সোমবার সকালে বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

মায়াদেবীর বাড়ির কাছেই প্রয়াত রণজিৎভূষণ মিত্রের বাড়িতে তাঁর জীবদ্দশা থেকেই সিপিএমের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের কার্যালয় হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ভোটের জন্য অফিসটি নির্বাচনী কার্যালয় হিসাবে তৈরি করা হয়েছিল।

Advertisement

সোমবার সকালে এলাকায় গিয়ে দেখা গেল অফিসটির গ্রিলে তালা দেওয়া। তার গায়ে ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী মৌসুমী চক্রবর্তীর পতাকা-ফেস্টুন লাগানো। সিপিএমের পতাকা-ফেস্টুন-ফ্লেক্স ছিঁড়ে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। অফিস চত্বরেও তৃণমূল প্রার্থীর ফ্লেক্স লাগানো হয়েছে। মায়াদেবীর অভিযোগ, ‘‘তৃণমূলের লোকেরাই গভীর রাতে ওই কাণ্ড ঘটিয়েছে। এলাকায় শান্তিপূর্ণ ভোট প্রক্রিয়া ব্যাহত করতেই ওই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাইছি।’’ ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষ জানালেন রাত দুটৌ নাগাদ ওই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। অনেকেই তা দেখেছেন। কিন্তু সাহস করে কেউ প্রতিবাদ করেননি।

তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দলের বনগাঁ শহর যুব সভাপতি প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘সিপিএমের ওয়ার্ডে পায়ের তলায় মাটি নেই। তাই নিজেরাই ওই কাণ্ড ঘটিয়ে মানুষের সহানুভূতি আদায় করতে চাইছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন