চলছে সাঁকো তৈরির কাজ। —নিজস্ব চিত্র।
রাজনীতির ময়দানে তাদের আকচা-আকচি যতই থাক, এলাকায় যাতায়াতের সুবিধার জন্য সাঁকো গড়তে তারা দু’পক্ষই পাশে দাঁড়ালেন গ্রামবাসীদের। সিপিএম এবং তৃণমূল নেতাদের উৎসাহে স্বরূপনগরের চারঘাটে যমুনা নদীর উপরে ভেঙে পড়া দিয়াড়া সেতুর পাশে শুক্রবার দিনভর পরিশ্রমে সাঁকো গড়ে ফেললেন গ্রামবাসী।
নদী পারাপারের জন্য অস্থায়ী ওই সাঁকোর ব্যবস্থা হলেও দু’দলই পুরনো সেতু ভেঙে নতুন সেতু তৈরির দাবি তুলেছে। স্বরূপনগরের বিডিও অর্ণর রায় জানান, স্থায়ী সেতু নির্মাণের জন্য আগামী সোমবার সেচ দফতরের বিদ্যাধরী ড্রেনেজ ডিভিশনের ইঞ্জিনিয়াররা ঘটনাস্থলে যাবেন। একই সঙ্গে অবশ্য তিনি বলেন, ‘‘কংক্রিটের সেতু তৈরি করতে অনেক খরচ। বিষয়টি জেলা প্রশাসন দেখছে। গ্রামবাসীদের চলাচলের সুবিধার্থে আপাতত আমাদের পক্ষে একটি অস্থায়ী সেতু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’’
বালি বোঝাই দশ চাকার একটি ট্রাকের চাপে গত বৃহস্পতিবার যমুনা নদীর দু’ধারে চারঘাটের দিয়াড়া এবং সগুনা পঞ্চায়েতের শ্রীরামপুর গ্রামের মধ্যে সংযোগকারী ওই সেতুটি ভেঙে যায়। বিপাকে পড়েন গ্রামবাসীরা। কেননা, ওই সেতু দিয়েই বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ প্রতিদিন সব্জি নিয়ে হাট-বাজারে যেতেন। এ ছাড়া, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, থানা-সহ প্রশাসনিক দফতরে গ্রামবাসীদের যাতায়াতেও প্রধান মাধ্যম ছিল সেতুটি। সেতুটি ভেঙে পড়ায় গ্রামবাসীদের অনেককেই এখন শ্রীরামপুর, কপিলেশ্বরপুর, লবণগোলা হয়ে প্রায় চার কিলোমিটার ঘুরপথে চারঘাট হাটে যেতে হচ্ছে। তাঁদের সেই কষ্ট লাঘব করতেই শুক্রবার এলাকার সিপিএম এবং তৃণমূল নেতৃত্ব পথে নামেন। গ্রামবাসীদের সাঁকো গড়তে উৎসাহ দেন। চারঘাট পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য চম্পা মণ্ডল এবং সগুনা পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য কনকচন্দ্র মণ্ডল— দু’জনেরই জানান, ভোটের সময়ে রাজনীতি করলেও মানুষের বিপদে তাঁরা একসঙ্গেই কাজ করবেন।