পিচ উঠে যাওয়ায় কাজ বন্ধ করে দিলেন গ্রামবাসীরা

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিল (আরআইডিএফ) টাকায় স্থানীয় ওই রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। খরচ বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গাইঘাটা শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৭ ০১:২৭
Share:

থমকে-মেশিন: নিজস্ব চিত্র

১৩ কিলোমিটার রাস্তা চওড়া হবে, পিচ পড়বে— গাইঘাটা ব্লকের প্রায় ১০-১২টি গ্রামের বাসিন্দাদের এই দাবি দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি রামচন্দ্রপুর থেকে ঢাকাপাড়া পর্যন্ত ওই রাস্তার কাজ শুরুও হয়েছে। রাস্তা চওড়া করার জন্য গ্রামবাসীরা স্বেচ্ছায় জমি দিয়েছেন। কেটে ফেলেছেন আম, কাঁঠাল-সহ নানা গাছ।

Advertisement

কিন্তু দিন কয়েক আগে ব্যাসাটি গ্রামের বাসিন্দাদের নজরে আসে, ইতিমধ্যেই কোথাও কোথাও পিচ উঠতে শুরু করেছে। খারাপ মানের মালপত্র ব্যবহার করে কাজ করার ফলেই এই অবস্থা বলে অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। ক্ষোভে বাসিন্দারা দিন কয়েক আগে রাস্তা তৈরির কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। তৈরি হওয়া কালভার্টগুলিও নিম্নমানের হয়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ। সোমবার গ্রামবাসীরা জেলা পরিষদের বাস্তুকার, ঠিকাদার, পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিল (আরআইডিএফ) টাকায় স্থানীয় ওই রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। খরচ বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা। ইটপাতা রাস্তাটি আকারে বেশ সরু ছিল। তাই রাস্তা নতুন ও চওড়া করার জন্য গ্রামবাসীরা স্বেচ্ছায় জমিও দিয়েছেন। মাটিও দিয়েছেন।

Advertisement

এলাকার বাসিন্দা বিষ্ণুপদ মণ্ডল, তারক মণ্ডল, অভিজিৎ অধিকারী, তপন বিশ্বাসরা জানান, অতীতে এখানে মাটির রাস্তা ছিল। ২০০০ সালের পরে তৈরি হয় ইটের রাস্তা। তার উপর দিয়েই অটো, লরি, মোটরবাইক-সহ নানা যানবাহন চলাচল করে। বর্ষার সময় যাতায়াত করা যেত না।

বৃদ্ধ তারকবাবু নিজে জমি দান করেছেন রাস্তা তৈরির জন্য। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কথা ভেবে জমি দান করলাম। কিন্ত রাস্তাটি নিম্ন মানের তৈরি করা হয়েছে। সহজেই পিচ উঠে যাচ্ছে। আমরা চাই ভাল ভাবে রাস্তা তৈরি করা হোক।’’

ঠিকাদারের দাবি, নিম্নমানের রাস্তা তৈরি করা হয়নি। বৃষ্টির জন্য পিচ উঠে যাচ্ছে।

জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ‘‘গ্রামবাসীর ক্ষোভের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। বর্ষার সময়ে পিচের কাজে সমস্যা হয়। আপাতত কাজ বন্ধ রাখা হচ্ছে। বর্ষার মরসুম শেষ হলে স্থানীয় বাসিন্দা এবং জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনা করে কাজ শুরু করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন