প্রসূতি এবং সদ্যোজাতের মৃত্যু ঠেকাতে ‘ওয়েটিং হাব’

হাসপাতালের প্রসূতি কার্ড রয়েছে। তবু প্রসব হচ্ছে বাড়িতেই। সুন্দরবন এলাকায় এই ঘটনা নতুন নয়। এ বার সেই ছবি বদলাতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। গোসাবা এবং‌ পাথরপ্রতিমায় শুধুমাত্র প্রসূতিদের দেখভালের জন্য তৈরি হয়েছে ‘ওয়েটিং হাব’।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোসাবা শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৬ ০১:২৮
Share:

হাসপাতালের প্রসূতি কার্ড রয়েছে। তবু প্রসব হচ্ছে বাড়িতেই। সুন্দরবন এলাকায় এই ঘটনা নতুন নয়। এ বার সেই ছবি বদলাতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। গোসাবা এবং‌ পাথরপ্রতিমায় শুধুমাত্র প্রসূতিদের দেখভালের জন্য তৈরি হয়েছে ‘ওয়েটিং হাব’।

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের প্রসবের সম্ভাব্য তারিখের দিন কয়েক আগে থেকে এই ‘ওয়েটিং হাব’ রেখে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। গোসাবা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তিনটি ঘরে ১০টি শয্যার ‘ওয়েটিং হাব’ তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেখানে ১০ জন প্রসূতি ভর্তি রয়েছেন।

গোসাবা ব্লকের বিএমওএইচ প্রশান্ত মণ্ডল বলেন, ‘‘আপাতত ১০ শয্যার ‘ওয়েটিং হাব’ চালু হয়েছে। কিন্তু প্রসূতিদের যে চাপ রয়েছে তাতে ১০টি শয্যায় সমস্যা মিটছে না। এখনও অনেক প্রসূতিকে সাধারণ শয্যায় রাখতে হচ্ছে।’’ সমস্যার কথা স্বীকার করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসীম দাস মালাকার জানান, আপাতত ১০ শয্যার ‘ওয়েটিং হাব’ চালু হলেও শয্যা বাড়ানোর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতর এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুন্দরবন এলাকায় প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবে জোর দিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রসূতিদের হাসপাতালে আনার জন্য সরকারি উদ্যোগে গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু সুন্দরবনের অনেক প্রত্যন্ত এলাকায় গাড়ি ঢুকতেই পারে না। তাই বাড়িতে সন্তান প্রসবের ঘটনা বন্ধ হয়নি। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসার পথে প্রসবের ঘটনাও ঘটছে। তাই ‘ওয়েটিং হাবে’র উদ্যোগ।

গোসাবার বাসিন্দা অণিমা মণ্ডল, প্রলয় সাঁফুইরা জানান, সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় ঝড়, বৃষ্টি হলে প্রসূতিদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আনা খুবই সমস্যার। তাঁদের কথায়, ‘‘প্রসবের নির্দিষ্ট দিনের আগে থেকে প্রসূতিরা হাসপাতালে ভর্তি থেকে সঠিক চিকিৎসা পাবে। এটা খুবই ভাল ব্যাপার। তবে ‘ওয়েটিং হাবে’র শয্যা সংখ্যা বাড়ানো উচিত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন