হাত ধরে স্ত্রী, নলি কাটল শ্যালক

বসিরহাটের গোখনা গ্রামের পূর্বপাড়ার বাসিন্দা কুড়োন সর্দারকে খুনের ঘটনার তদন্ত নেমে এই তথ্য পেয়েছে পুলিশ। কুড়োনের শ্যালক ফজলু মণ্ডলকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৮ ০৫:১৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিছানায় শুয়ে ছটফট করছিলেন বত্রিশ বছরের জোয়ান মানুষটা। শক্ত হাতে তার হাত চেপে ধরেছে স্ত্রী। ছুরির কোপে গলার নলি কেটে দিল শ্যালক।

Advertisement

বসিরহাটের গোখনা গ্রামের পূর্বপাড়ার বাসিন্দা কুড়োন সর্দারকে খুনের ঘটনার তদন্ত নেমে এই তথ্য পেয়েছে পুলিশ। কুড়োনের শ্যালক ফজলু মণ্ডলকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে মঙ্গলবার রাতে কুড়োনের স্ত্রী সেরিনাকেও ধরা হয়। পুলিশের দাবি, জেরায় সেরিনা স্বীকার করেছে, দিদি-ভাই মিলেই খুন করেছে কুড়োনকে।

কিন্তু কেন? পুলিশের দাবি, জেরায় ওই তরুণী জানিয়েছে, শ্যালকের স্ত্রীর সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছিলেন স্বামী। পাশাপাশি বাড়িতে বাস। এই নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে অশান্তি ছিল। সেরিনা পুলিশকে বলেছে, স্বামীর ‘কীর্তি’র জেরে পাড়ায় মুখ দেখানোর উপায় ছিল না ছেলেমেয়ের। পরিস্থিতির হাত থেকে বাঁচতে ভাই-বোন মিলে ঠিক করে, দু’টো সংসারকে বাঁচাতে কুড়োনকে সরিয়ে দিতে হবে। ঘুমন্ত অবস্থায় কুড়োনের উপরে চড়াও হয় তারা।

Advertisement

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘরের ভিতরে গলার নলি-কাটা অবস্থায় উদ্ধার হয় কুড়োনের দেহ। সেরিনা বিবি সে সময়ে দাবি করেছিলেন, রোগের জ্বালা সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছেন স্বামী। তদন্তকারী অফিসারদের কথাটা বিশ্বাস হয়নি। ফজলু ক’দিন আগে জামাইবাবুকে হুমকি দিয়েছিল বলে জানতে পারেন তাঁরা। আটক করা হয় ফজলুকে। এরপরেই তদন্তের জট খুলতে থাকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement