কীটনাশক খাইয়ে এক ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগে তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে মন্দিরের গ্রিলের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখলেন এলাকার মহিলারা। ওই ব্যক্তির জামাইকে মারধর করে ঘরে আটকে রাখা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে ওই তিনজনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁর পাইকপাড়া গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম গোপাল সরকার (৫১)। বাড়ি ওই এলাকায়। রবিবার রাত পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি। পুলিশ ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই আইনত পদক্ষেপ করবে। আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। গোপালবাবুর স্ত্রী মেয়ে ও জামাইকে থানার হেফাজতে রাখা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় খেতমজুর গোপালবাবুর জামাই ও মেয়ে জামাইষষ্ঠীতে শুক্রবার পাইকপাড়ার বাড়িতে আসে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই রাতেই গোপালবাবুকে মদের সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে খাওয়ানো হয়েছে। তিনি অচৈতন্য অবস্থায় বাড়ির পাশে একটি বাগানে পড়েছিলেন। শনিবার ভোরে গ্রামবাসীরা উদ্ধার করে তাঁকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওই দিন রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। এ দিকে গোপালবাবুর মৃত্যুর খবর চাউর হতেই গ্রামের মহিলারা স্ত্রী ও মেয়েকে ধরে এনে স্থানীয় একটি মন্দিরের গ্রিলের সঙ্গে বেধে রাখেন। জামাইকে মারধর দিয়ে বাড়িতে আটকে রাখা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। মহিলাদের অভিযোগ, গোপালবাবুকে মেয়ে ও স্ত্রী সহ্য করতে পারতেন না। স্ত্রী তাঁকে মারধরও করতেন বলে জানান গ্রামবাসীরা।