স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে স্ত্রীর মৃত্যু

দুষ্কৃতীদের হাত থেকে স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে মার খেয়ে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ার। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে মথুরাপুরের বড়সুদি গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, চিকিৎসাধীন ছিলেন আরতি গুড়ে (৫০) নামে ওই মহিলা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মথুরাপুর শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:৫২
Share:

নিহতের পরিবারের পাশে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।

দুষ্কৃতীদের হাত থেকে স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে মার খেয়ে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ার।

Advertisement

শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে মথুরাপুরের বড়সুদি গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, চিকিৎসাধীন ছিলেন আরতি গুড়ে (৫০) নামে ওই মহিলা। সোমবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতের স্বামী গৌরাঙ্গবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে একটি অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। কেউ গ্রেফতার হয়নি। তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তদের নাম বলা হচ্ছে না বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এই ঘটনায় রাজনীতির রং লেগেছে। নিহতের পরিবার সিপিএমের সমর্থক। তৃণমূলের লোকজনই আরতিদেবীর উপরে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। সোমবার বিকেলে জেলা হাসপাতালে আসেন প্রাক্তন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, সিপিএম নেতা রাহুল ঘোষ। আরতিদেবীর পরিবারের পাশে তাঁরা থাকবেন বলে আশ্বাস দেন। কান্তিবাবু বলেন, ‘‘এ কোন নৈরাজ্যে আমরা বাস করছি। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু হল স্ত্রীর।’’ অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার না করা হলে আন্দোলনে নামা হবে বলেও তিনি জানান।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ স্বামী গৌরাঙ্গবাবুকে গ্রামের কয়েকজন যুবক কটূক্তি করে। পাল্টা তাদের বকাঝকা করে বাড়ি ফেরেন বছর ষাটের ওই বৃদ্ধ। এরপরেই গ্রামের কয়েকজন যুবক ওই দম্পতির বাড়িতে চড়াও হয়। গৌরাঙ্গবাবুকে মারধর করে বলে অভিযোগ। আরতিদেবী বাধা দিতে গেলে এক যুবক আচমকা তাঁর পেটে ঘুষি মারে।

মথুরাপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ওই মহিলাকে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সোমবার ভোরে সেখানেই মারা যান তিনি। আরতিদেবীর ছেলে বুদ্ধেশ্বর বলেন, ‘‘আমরা সিপিএম সমর্থক বলে ওরা বাবাকে কটূক্তি করত। ওরা সব তৃণমূলের লোকজন। যারা মাকে মেরেছে, তার মধ্যে একজন সিভিক ভলান্টিয়ারও ছিল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন