এক দিকে ধর্মঘট সমর্থনকারীদের অনমনীয় মনোভাব, অন্য দিকে তা রোখার সরকারি প্রচেষ্টা— এই দু’য়ের মাঝে পড়ে চিন্তায় আছেন বহু সরকার কর্মী। কী ভাবে অফিস যাবেন-আসবেন, রাস্তায় পর্যাপ্ত গাড়ি-ঘোড়া থাকবে কিনা, গোলমাল হবে না— এ সব নিয়ে ভাবছেন সকলে।
বৃহস্পতিবার ধমর্ঘটের সমর্থনে যেমন মিছিল বেরিয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার নানা জায়গায়, তেমনই ধর্মঘটের মোকাবিলায় জনমত গড়ে তুলতে বহু জায়গায় মিছিল করেছে তৃণমূলও।
কাকদ্বীপের হাইস্কুলগুলিতেও সরকারি নির্দেশ এসে পৌঁছেছে, বৃহস্পতিবার, শুক্রবার এবং সোমবার ছুটি না নেওয়ার জন্য। নিলে মাইনে কাটা হবে। স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তায় রয়েছেন বহু শিক্ষক। স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ প্রামাণিক বলেন, ‘‘স্কুল যে কোনও উপায়ে খোলা রাখতেই হবে।’’
সরকারি অফিসগুলিও সচল রাখার ব্যাপারে তৎপর প্রশাসনের কর্তারা। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন অফিসে কর্মীদের হাজিরার জন্য জরুরি নির্দেশ গিয়েছে দুই জেলাতেই।
মুখ্যমন্ত্রীর অভয়দানের ফলে রাস্তায় বাস বের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বাস মালিকেরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলার বাস মালিক সংগঠনের নেতা অশোক গায়েন বলেন, ‘‘ধর্মঘট ঘিরে দুর্ঘটনা, বা কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি হলে যেহেতু ক্ষতিপূরণের কথা মুখ্যমন্ত্রী বলে দিয়েছেন, তাই আমাদের অধীনে থাকা সবগুলি সংগঠন সব রুটে বাস পরিষেবা অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক রাখবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’
পুলিশের তরফেও ধর্মঘট ঘিরে গোলমাল ঠেকাতে তৎপরতা চোখে পড়েছে।
তবে এ সব উপেক্ষা করেই ধর্মঘটের সমর্থনে জোরদার সওয়াল করতে রাস্তায় নামা হবে বলে জানিয়েছেন বামেরা। কাকদ্বীপ মহকুমার সিপিএম জোনাল কমিটির সম্পাদক মৃতেন্দু ভুঁইয়া বলেন, ‘‘দলীয় কর্মসূচি মেনেই মিটিং, পথসভা এবং প্রয়োজনে পিকেটিং হবে। সবটাই নির্ভর করছে পরিস্থিতির উপর।’’