পুলিশ জানিয়েছে, জখম দুই নাবালিকার নাম মল্লিকা প্রামাণিক ও মনীষা প্রামাণিক এবং তাঁদের মা মহেশ্বরী প্রামাণিক। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই এলাকার বাসিন্দা গণেশ নিত্যদিন মদ খেয়ে বাড়িতে ফেরেন। বাড়িতে ফিরে তিনি তার স্ত্রী ও সন্তানদের গালিগালাজ করেন। মদ্যপান করার জন্য তিনি ঘরের জিনিসপত্র বিক্রি করে দেন বলে অভিযোগ। এই নিয়ে তার স্ত্রী মহেশ্বরীর সঙ্গে প্রায়ই ঝামেলা হয়। তিনি তার স্ত্রী মহেশ্বরীকে গালিগালাজ ও মারধর করেন বলে অভিযোগ। ওই দিন বাড়িতে ঢুকে গণেশ তার স্ত্রীর উপর চড়াও হয়। এই নিয়ে প্রতিবাদ করে তার দুই নাবালিকা কন্যা মল্লিকা ও মনীষা। অভিযোগ, মাকে বাবার মারের হাত থেকে বাঁচাতে গেলে দুই মেয়েকে মারধর করে গণেশ। এমনকী মাটিতে ফেলে লাথি মারতে থাকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তালদির সুরবালা গার্লস হাইস্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ে মল্লিকা। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে মনীষা। বাবার মারে গুরুতর জখম হয়ে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুই বোন। মহেশ্বরী প্রামাণিক বলেন, ‘‘আমার স্বামী প্রায় মদ খেয়ে বাড়িতে অশান্তি করে। এই নিয়ে কিছু বলতে গেলেই মারধর করে। এ দিন আমার দুই মেয়ে প্রতিবাদ করায় তাদের মারধর করে। আমি চাই তার উপযুক্ত শাস্তি হোক।’’ তবে ঘটনার পর থেকে গণেশ পলাতক বলে জানায় পুলিশ।