প্রতীকী ছবি।
বাড়ির পাশেই রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছিলেন এক মহিলা। যার জেরে প্রতিবেশী এক মহিলা তাঁকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত সেই মহিলা আবার এলাকারই কাউন্সিলর। সোমবার সকালের ওই ঘটনায় পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন উত্তর ব্যারাকপুর পুর এলাকার বাসিন্দা শ্যামলী সরকার। ব্রততী সেন নামে ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন পুরসভার চেয়ারম্যানের কাছেও।
ঘটনার তদন্ত করছে নোয়াপাড়া থানার পুলিশ। ধস্তাধস্তির কথা মানলেও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ব্রততী। থানায় পাল্টা অভিযোগ করেছেন তিনিও। বিধবা শ্যামলীর বাড়ি ইছাপুর নবাবগঞ্জের শাঁখারিপাড়ায়। তাঁর পাশের বাড়িটাই ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ব্রততীর। দুই বাড়ির মাঝে একটি রাস্তা রয়েছে। সেটির আড়াই ফুট কাউন্সিলরের পরিবারের, বাকি চার ফুট শ্যামলীর।
শ্যামলীর অভিযোগ, ইট পাতা ওই রাস্তাটির হাল বেশ খারাপ। এ দিন সেই রাস্তা দিয়ে ভ্যানে করে ইট নিয়ে যাচ্ছিলেন কাউন্সিলর। তাতে রাস্তা ও নর্দমার একাংশ ভেঙে যায়। সেই ঘটনারই প্রতিবাদ করেন শ্যামলী। তিনি জানতে চান, তাঁকে না জানিয়ে কেন ওই রাস্তায় ইট-বোঝাই ভ্যান ঢোকানো হল। অভিযোগ, তার পরেই তাঁর দিকে তেড়ে আসেন ব্রততী। চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে মারধর করেন। উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভায় গিয়ে চেয়ারম্যান মলয় ঘোষের কাছে নালিশ জানান। নোয়াপাড়া থানাতেও লিখিত অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ, ব্রততী প্রায়ই পাড়ার লোকজনের সঙ্গে ঝামেলা করেন। ব্রততী অবশ্য মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি না, উনিই আমাকে মেরেছেন।’’ শ্যামলী কেন তাঁকে মেরেছেন জানতে চাওয়া হলে ব্রততী বলেন, “ওই মহিলার স্বভাব ভাল নয়।” তিনি আরও বলেন, “উনি পাড়ার অন্যদের আমার বিরুদ্ধে উস্কানি দিচ্ছিলেন। মারিনি, তবে ধাক্কাধাক্কি তো হয়েছে। থানায় আমিও জিডি করেছি।” ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (জোন ১) কে কান্নন জানান, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। মলয়বাবু বলেন, “ঘটনাটা শুনেছি। আইন আইনের পথে চলবে।”