‌‌জুয়া খেলার প্রতিবাদ, আহত মহিলা

বাসিন্দারা জানান, প্রতিবাদ করা মাত্রই ওই এলাকারই বাসিন্দা তোয়াম্মেল মোল্লাকে ধরে পেটাতে থাকে জুয়াড়িরা। তাঁকে মাটিতে ফেলে লাঠি দিয়ে পেটানো হয় বলেও অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:১৩
Share:

আহত সাইরা বিবি। বৃহস্পতিবার, শাসনে। নিজস্ব চিত্র

জুয়ার ঠেকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় মহিলার মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত করার অভিযোগ উঠল।

Advertisement

বুধবার রাতে শাসন থানার উত্তর ফলতিতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হলেন সাইরা বিবি নামে এক মহিলা। অভিযোগ, প্রকাশ্য জায়গায় জুয়া খেলার প্রতিবাদ করে প্রথমে দুষ্কৃতীদের হাতে মার খান সাইরার স্বামী তোয়াম্মেল মোল্লা। স্বামীকে বাঁচাতে এসে দুষ্কৃতীদের নিশানায় চলে আসেন সাইরা। ঘটনার সময় তিনি নিজেও জুয়ার ঠেকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছিলেন। ঘটনার পরে অভিযুক্তদের খোঁজ করছে শাসন থানার পুলিশ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মধ্যমগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সাইরাকে। প্রকাশ্য রাস্তায় জুয়োর ঠেক চললেও তা পুলিশের নজরে কেন পড়েনি ওই ঘটনার পরে এমন প্রশ্নও তুলেছেন স্থানীয় মানুষ।

এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, যে জায়গায় ওই ঘটনা ঘটেছে সেটি জনবহুল এলাকা। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে চলত জুয়ার ঠেক। জুয়াকে কেন্দ্র করে মত্তদের নিজেদের মধ্যে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, মারপিট ঘিরে বিরক্ত ছিলেন সকলেই। পুলিশ জানায়, উত্তর ফলতি এলাকার একটি চায়ের দোকানে জুয়ার ঠেক চলত। বুধবার রাতেও জুয়া ঘিরে কয়েক জনের মধ্যে শুরু হয় বাদানুবাদ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কিছু ক্ষণের মধ্যে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু করে দেয় ঠেকের লোকজন। ঘটনা সহ্যের সীমা ছাড়াতে প্রতিবাদ করেন এলাকার কয়েক জন।

Advertisement

বাসিন্দারা জানান, প্রতিবাদ করা মাত্রই ওই এলাকারই বাসিন্দা তোয়াম্মেল মোল্লাকে ধরে পেটাতে থাকে জুয়াড়িরা। তাঁকে মাটিতে ফেলে লাঠি দিয়ে পেটানো হয় বলেও অভিযোগ। স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন তোয়াম্মেলের স্ত্রী সাইরা। সেই সময়ই সাইরার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন বছর তিরিশের ওই মহিলা। এর পরেই এলাকা থেকে চম্পট দেয় অভিযুক্তেরা।

স্থানীয় মানুষই সাইরা মধ্যমগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর মাথায় ৬টি সেলাই পড়ে। বৃহস্পতিবার শাসন থানায় অভিযোগ দায়ের করে জখমের পরিবার। পুলিশ জানায়, তিন জনকে খোঁজা হচ্ছে। এ দিন দুপুরে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আনা হয় সাইরাকে। দেখা যায়, তাঁর মাথায় ব্যান্ডেজ, সারা গায়ে কালশিটে। বিছানায় শুয়ে তিনি বলেন, ‘‘প্রথমে লাঠি দিয়ে স্বামীকে পেটাচ্ছে দেখে আমি যেতেই আমাকে ধরে মারতে থাকে ওরা। হঠাৎই মাংস কাটার বড় ছুরি দিয়ে আমার মাথায় মারা হয়। তার পরে আর কিছু মনে নেই।’’ এ দিন অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিও জানান এলাকার মানুষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন