—প্রতীকী চিত্র।
কাজে গিয়েছিলেন বুধবার। তার পর আর খোঁজ ছিল না। শুক্রবার কারখানার শৌচাগার থেকে মিলল ৩০ বছরের ওই যুবকের রক্তাক্ত দেহ। সকাল থেকে এই ঘটনায় শোরগোল ইএম বাইপাস সংলগ্ন বারুইপুর থানা এলাকায় ঠান্ডা পানীয় প্রস্তুতকারক সংস্থার কারখানা এবং অফিসে। পরিবার এবং সহকর্মীদের একাংশের অভিযোগ, পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে যুবককে। তদন্তে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম কবির হোসেন মোল্লা (৩০)। বাড়ি নরেন্দ্রপুর এলাকায়। ইএম বাইপাস সংলগ্ন ওই ঠান্ডা পানীয় প্রস্তুতকারী সংস্থার করাখানায় কর্মরত ছিলেন তিনি। মাস আষ্টেক আগে বিয়ে হয়েছে কবিরের। পরিবারের দাবি, গত ২২ অক্টোবর দুপুরে পর থেকেই কবিরের সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ হয়নি তাদের। শেষবার পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছিল গত বুধবার। তখন কবির কর্মস্থলে আছেন বলে জানান। কিন্তু আর বাড়ি ফেরেননি। মোবাইল বন্ধ ছিল।
উদ্বিগ্ন পরিবারের সদস্যেরে পরের দিন অর্থাৎ, বৃহস্পতিবার কবিরের কর্মস্থলে খোঁজ নিতে যান। তখন সহকর্মীরা বলেন, ‘‘ওর তো শিফট্ পেরিয়ে গিয়েছে।’’ কিন্তু কারখানার ‘অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টার’-এ দেখা যায়, ‘আউট’ মার্ক নেই। এই অসঙ্গতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তার পরেই শুক্রবারের এই ঘটনা।
জানা যাচ্ছে, সকালে কয়েক জন খেয়াল করেন কারখানার একটি শৌচাগার দীর্ঘ সময় ধরে ভিতর থেকে বন্ধ। কয়েক জন গিয়ে ডাকাডাকি করেন। ভিতর থেকে কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দেন তাঁরা। এর পর পুলিশ গিয়ে শৌচাগারের দরজা ভাঙে। দেখা যায়, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন কবির। খবর যায় পরিবারে। তারা গিয়ে দেহ শনাক্ত করে। মৃতের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখে পরিবার এবং সহকর্মীদের দাবি, এটি পরিকল্পিত খুন। যদিও প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ মনে করছে, এটা আত্মহত্যার ঘটনা। কিন্তু কী ভাবে মৃত্যু হল যুবকের, তা তদন্তসাপেক্ষ বলে জানাচ্ছে পুলিশ। ইতিমধ্যে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
অন্য দিকে, কর্মীর দেহ উদ্ধারের পর বিক্ষোভ শুরু হয়েছে ঠান্ডা পানীয় সংস্থার কারখানায়। শুক্রবার সকাল থেকে কর্তৃপক্ষের পদস্থ আধিকারিকদের খোঁজ মেলেনি। তাই অফিসের মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন কর্মী থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। সংস্থার কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ়ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।