প্রতীকী ছবি।
ভরসন্ধ্যায় গুলির শব্দে চমকে ওঠেন বাসিন্দারা। দেখা যায়, হালিশহরের জেঠিয়া পঞ্চায়েত অফিসের সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন এক যুবক। মাথার ঘিলু বেরিয়ে ছিটকে পড়েছে। মুখ রক্তে ভেসে যাচ্ছে। পাশেই পড়ে আছে আগ্নেয়াস্ত্র।
খবর পেয়ে বীজপুর থানার পুলিশ ও কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে টহলরত ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম হিমাংশু সিংহ (২৭)। বাড়ি হালিশহরের ডাঙাপাড়ায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি আত্মহত্যার ঘটনা।
হিমাংশুর পরিবার সূত্রের খবর, স্থানীয় এক তরুণীর সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল হিমাংশুর। কিন্তু কিছু দিন ধরে তাঁকে এড়িয়ে যাচ্ছিলেন ওই তরুণী। বুধবার সন্ধ্যায় তাঁদের দেখা হয়। কিন্তু হিমাংশুর দেওয়া বিয়ের প্রস্তাব নাকচ করে দেন ওই তরুণী।
ভেঙে পড়েন হিমাংশু। বাড়ি ফিরে অনেকক্ষ মন গুম মেরে ঘরে বসেছিলেন। কাউকে কিছু না জানিয়ে বেরিয়ে পড়েন বাড়ি থেকে। এরপরেই পঞ্চায়েত অফিসের সামনে গিয়ে নিজের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে পুলিশের অনুমান।
ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার সুব্রত মিত্র বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরেই অবসাদে ভুগছিলেন ওই তরুণ। তিনি কোথা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র পেলেন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তরুণীর খোঁজ চলছে। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’’
হাবরার তরুণীকে যে ভাবে আত্মহত্যায় প্ররোচনার দায়ে গ্রেফতার করে পুলিশ অতি সক্রিয়তা দেখিয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে, এ ক্ষেত্রে আইন কোন পথে এগোয়, তা অবশ্য সময়ই বলে দেবে।