বৃদ্ধাকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিল জনতা। শনিবার রাতে দেগঙ্গার বেড়াচাঁপার ২ পঞ্চায়েতের গড়পাড়ার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম লতিফ মণ্ডল। বাড়ি হাদিপুর ঝিকড়া ১ নম্বর পঞ্চায়েতের সানপুকুর গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার বয়স ৬৭ বছর। তাঁর বাড়ি ওই এলাকাতেই। বাড়ি মেরামতের কাজ চলায় তিনি সামনের একটি অস্থায়ী ঘরে একা থাকতেন। রাত ২টা নাগাদ ওই ঘরে ঢুকে পড়ে পেশায় ভ্যানচালক লতিব। বৃদ্ধার মুখ চেপে ধরে তাঁকে তিল খেতের মধ্যে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। বৃদ্ধাকে মারধর করে বলেও অভিযোগ। এরপর পালাতে গেলে গ্রামবাসীরা বছর পঁয়ত্রিশের লতিবকে ধরে ফেলে। শুরু হয় গণধোলাই। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লতিবকে গ্রেফতার করে।
বৃদ্ধার বৌমা বলেন, ‘‘বাড়ির সামনেই তিল খেত থেকে শাশুড়িকে যখন উদ্ধার করা হয় তখন তাঁর কান দিয়ে রক্ত ঝরছিল। ভয়ে তিনি প্রায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন।’’ স্থানীয় বিশ্বনাথপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রবিবার ওই বৃদ্ধার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়। তাঁর ছেলের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ঘটনার তীব্র নিন্দা করে এ প্রসঙ্গে দেগঙ্গা ব্লকের মহিলা সমিতির সম্পাদক তৃণমূলের সাধনা মিত্র বলেন, ‘‘দোষী ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। না হলে আন্দোলনের পথে নামতে বাধ্য হব।’’