দুর্নীতির অভিযোগে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের উপরে ভোটাভুটিতে পরাজিত হল সিপিএম। ফলে দেগঙ্গার হাদিপুর-ঝিকড়া পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় এল তৃণমূল।
মঙ্গলবার দুপুরে বিডিও-র প্রতিনিধির উপস্থিতিতে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোটাভুটিতে ৭-৬ ব্যবধানে জয়ী হয়েছে তারা। সিপিএমের দাবি, লাগাতার সন্ত্রাসের ফলেই তাদের সদস্যদের একাংশকে নিজেদের দলে যোগ দিতে বাধ্য করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের পাল্টা বক্তব্য, মানুষ চায় উন্নয়ন। কাউকে জোর করে নয়, সিপিএমের সদস্য হয়ে এলাকার কাজ করতে না পেরে কেউ কেউ দল পরিবর্তন করেছেন।
ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েতটিতে মোট আসন সংখ্যা ১৩টি। গত পঞ্চায়েত ভোটের পরে দেখা যায়, সিপিএম ৯টি আসনে জয়ী হয়েছে। কংগ্রেস পায় ২টি আসন। তৃণমূল এবং নির্দল ১টি করে আসনে জয় লাভ করে। প্রধান হন সিপিএমের সীমা পাড়ুই। পরবর্তী সময়ে নির্দল ও কংগ্রেসের সদস্যেরা তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে ৪ হয়। গত অগস্ট মাসে প্রধানের বিরুদ্ধে উন্নয়নমূলক কাজ না করার অভিযোগ তুলে সিপিএমের তিন সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। তৃণমূলের সদস্য বেড়ে দাঁড়ায় ৭। সিপিএম কমে হয় ৬টি। এরপরেই এলাকার উন্নয়ন নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সিপিএমের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে তৃণমূল। ভোটাভুটিতে গণ্ডগোলের আশঙ্কায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। বেলা ১২টা নাগাদ বিডিও-র প্রতিনিধির উপস্থিতিতে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোটাভুটি হয়।
সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে আসা পঞ্চায়েত সদস্যেরা বলেন, “মানুষ উন্নয়নের আশায় আমাদের ভোটে জিতিয়েছিলেন। কিন্তু কথা রাখেননি প্রধান। তাই মানুষের কাজে সামিল হয়ে মমতার হাত শক্ত করতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।” সিপিএম নেতা ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটের শুরু থেকেই সন্ত্রাস করছে তৃণমূল। তা সত্ত্বেও আমরা দেগঙ্গায় ৪টি পঞ্চায়েত সমিতির দখল নিয়েছিলাম। এখন পরিকল্পনা করে অনৈতিক ভাবে আমাদের তিন সদস্যকে ভাঙিয়ে পঞ্চায়েত দখল করল ওরা। সময় হলে মানুষ এর জবাব দেবেন।” তৃণমূল নেতা আব্দুল অদুত বলেন, “মানুষকে ভাঁওতা দিয়ে পঞ্চায়েত দখল করলেও উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি সিপিএম। তাই ওদের দলের তিন জন আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। এলাকার মানুষ উন্নয়ন চায়। আমরা কাজ করে মানুষের ভালবাসা অর্জন করব।”
খুনের ‘হুমকি’ মহিলাকে। বাড়িতে গিয়ে এক মহিলাকে আগ্নেয়াস্ত্র কপালে ঠেকিয়ে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল কয়েক জনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কল্যাণগড় এলাকায়। বৃহস্পতিবার রিনা সরকার নামে ওই মহিলা থানায় অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর কয়েক জন আত্মীয় নানা লগ্নি সংস্থায় কাজ করতেন। সেগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় টাকা ফেরতে দিতে পারছেন না। টাকা চেয়ে কিছু লোক রিনাদেবীকে খুনের হুমকি দিয়ে গিয়েছে।