আতঙ্কিত অদিতির ছোট বোন

দিনদুপুরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে শিক্ষিকা জখম হওয়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন বনগাঁবাসী। এ দিন বনগাঁ ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে যে মৌনী মিছিল বেরোয়, তা আড়ে-বহরে ছিল বেশ বড়। বেশ কয়েকশো মানুষ তাতে পা মিলিয়েছেন। অনেকের হাতে মোমবাতি, ফেস্টুন ছিল। অস্ত্রোপচার করে শরীর থেকে গুলি বের করা হলেও এখনও বিপন্মুক্ত নন বনগাঁর শিক্ষিকা অদিতি অধিকারী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বনগাঁ শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:৪০
Share:

ফোনে দিদির খবর নিচ্ছেন পরমা। —নিজস্ব চিত্র।

দিনদুপুরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে শিক্ষিকা জখম হওয়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন বনগাঁবাসী। এ দিন বনগাঁ ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে যে মৌনী মিছিল বেরোয়, তা আড়ে-বহরে ছিল বেশ বড়। বেশ কয়েকশো মানুষ তাতে পা মিলিয়েছেন। অনেকের হাতে মোমবাতি, ফেস্টুন ছিল। অস্ত্রোপচার করে শরীর থেকে গুলি বের করা হলেও এখনও বিপন্মুক্ত নন বনগাঁর শিক্ষিকা অদিতি অধিকারী। সোমবার রাতে পার্ক সার্কাসের একটি নার্সিংহোমে ৯টা থেকে ঘণ্টা দেড়েক অস্ত্রোপচার চলে। মঙ্গলবার দুপুরে অদিতির বাবা মোহনবাবু বলেন, “মেয়ে অল্পস্বল্প কথা বলছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আরও কয়েক দিন ওকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হচ্ছে।”

Advertisement

সোমবার সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ বনগাঁ থানা এলাকার উত্তর ছয়ঘড়িয়া মোড় এলাকায় যশোহর রোড ধরে ভ্যান রিকশায় স্কুলে যাচ্ছিলেন অদিতিদেবী। সে সময়ে তিন দুষ্কৃতী মোটর বাইকে এসে গুলি চালায়। অদিতি অবশ্য দুষ্কৃতীদের লক্ষ্য ছিলেন না। ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূল সদস্য হুজুর আলি শেখই ছিলেন হামলাকারীদের নজরে। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে লাগে ভ্যানের পিছনে বসা অদিতির ডান পাঁজরের নীচে।

বনগাঁ শহর কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও এ দিন মহকুমাশাসক সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের কাছে স্মাপকলিপি দেওয়া হয়েছে। যেখানে দাবি করা হয়েছে, অদিতির চিকিৎসার খরচ যেন সরকার বহন করে তার ব্যবস্থা করতে হবে। এ দিনই জেলা এবিটিএ ও এবিপিটিএ-এর একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষিকার উপরে হামলার প্রতিবাদে ও দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে মহকুমাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয়। পরে তারা অদিতির বাড়িতেও যান। প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে কিছু আর্থিক সাহায্যও করা হয় পরিবারটিকে। পরে আরও আর্থিক সাহায্য করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

মিছিল শেষ হওয়ার পরে আইনজীবীদের একটি প্রতিনিধি দল যায় অদিতির বাড়িতে। চিকিৎসার জন্য তাঁরা আর্থিক সাহায্য দেবেন বলে এ দিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বনগাঁ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি সমীর দাস।

অদিতির মা অসীমাদেবী এ দিন বলেন, “আমরা আর্থিক ভাবে খুবই দুর্বল। মেয়ের চিকিৎসার খরচ কী ভাবে চালাব বুঝতে পারছি না।” হতাশা ঝরে পড়ছিল গলায়। অদিতির ছোট বোন পরমাও একটি স্কুলের সঙ্গে যুক্ত। বললেন, “দিদির ঘটনার পর থেকে রীতিমতো ভয় পাচ্ছি। আমিও তো পথে আক্রান্ত হতে পারি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন