ঈদের বাজারে টুপি-সুর্মার ঢালাও বিক্রি

খুশির ঈদের আগে, শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় ব্যস্ত থাকল বসিরহাট। রং-বেরঙের জামা, দামি লুঙ্গি কিনতে ব্যস্ত এলাকার মানুষ। শহরের মধ্যে দিয়ে যাওয়া ইটিন্ডা এবং টাকি রাস্তার ধারে বসা দোকানে টুপি কেনার ভিড় জমেছে। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা সুর্মা লাগাচ্ছে চোখে। পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে পাড়ায় পাড়ায় সামগ্রিক মিলন অনুষ্ঠানে ব্যস্ত ধর্মপ্রাণ মানুষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৪ ০২:০৬
Share:

সুর্মায় সেজে উঠছে কিশোরী। বসিরহাটে নির্মল বসুর তোলা ছবি।

খুশির ঈদের আগে, শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় ব্যস্ত থাকল বসিরহাট।

Advertisement

রং-বেরঙের জামা, দামি লুঙ্গি কিনতে ব্যস্ত এলাকার মানুষ। শহরের মধ্যে দিয়ে যাওয়া ইটিন্ডা এবং টাকি রাস্তার ধারে বসা দোকানে টুপি কেনার ভিড় জমেছে। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা সুর্মা লাগাচ্ছে চোখে। পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে পাড়ায় পাড়ায় সামগ্রিক মিলন অনুষ্ঠানে ব্যস্ত ধর্মপ্রাণ মানুষ।

এ দিন সকাল থেকেই কেনাকাটার ভিড় জমে যায় শহর এবং শহর-লাগোয়া গ্রামের দোকানে। বসিরহাট পুরাতন বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, “এ বার সব থেকে বেশি বিক্রি বাংলাদেশ থেকে আসা নকশা পাড়ওয়ালা লুঙ্গির। ২৫০-৪০০ টাকা পর্যন্ত দামের লুঙ্গি মুহূর্তের মধ্যে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।”

Advertisement

বসিরহাটের বেলতলা থেকে একটু এগিয়ে ইটিন্ডা রোডে ব্যবসায়ী মানস ঘোষ জানালেন, জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় গত বছরের থেকে খানিকটা হলেও চাহিদা কমেছে। ইটিন্ডা রোডে তুলাপট্টির কাছে গিয়ে দেখা যায়, দু’চোখে সুর্মা পরতে ব্যস্ত কিশোর-কিশোরীরা। বিক্রেতা সাহাবুদ্দিন কবিরাজের কথায়, “মাত্র ১০ টাকা দিলেই দু’চোখে সুরমা পরা যাবে। সুর্মা পরলে চোখ পরিষ্কার থাকে। খরিদ্দার থাকলেও সুর্মার থেকে বেশি চাহিদা কম দামের টুপি এবং আতরের।”

একটু এগিয়ে বসিরহাটের মাদ্রাসার কাছে গেলে দেখা যাবে পর পর দোকান বসেছে লাচ্ছা, সিমুইয়ের। দাম জানতে চাইলে ব্যবসায়ী নাজির হোসেন মণ্ডল বলেন, “লাচ্ছার কেজি ৮০-১২০ টাকা। সিমুই বিক্রি হচ্ছে এক কেজি ৫০-৮০ টাকায়। তবে রঙিন প্যাকেটে নামি কোম্পানির এক কেজি লাচ্ছার দাম ৩৫০ টাকার উপর। দামি লাচ্ছার চাহিদাই বেশি।” বসিরহাটের পুরাতন বাজারের মধ্যে গেলে চোখে পড়বে রঙিন চুড়ি কেনার লম্বা লাইন।

ঈদ উপলক্ষে নানা কেনাকাটার মধ্যে বিক্রিতে পিছিয়ে নেই মোবাইল ফোন। পুরাতন বাজারের এক ব্যবসায়ী আব্দুল রহিমের দাবি, দুর্গাপুজো আর ঈদের আগে মোবাইল বিক্রির বেশ রমরমা দেখা যায়। এ বারেও মোবাইলের একই রকম চাহিদা দেখা যাচ্ছে।

বসিরহাটের বিভিন্ন প্রান্তে ধর্মমত নির্বিশেষে মিলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বসিরহাটের আর এন মুখার্জি রোডে এমনই এক অনুষ্ঠানে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে দেড় হাজার গরিব, দুঃস্থ মানুষের হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দেওয়া হয়। ওই সংস্থার পক্ষে সরফরাজ আলি রাজ বলেন, “গত ১৬ বছর ধরে এই বিশেষ দিনটিতে আমরা এলাকা সাজানোর পাশাপাশি এক মিলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করি। এর মাধ্যমে যতটা সম্ভব গরিব মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি।” বড় তোরণ এবং আলোর রোশনাইয়ে সেজে উঠেছে ত্রিমোহনী, সোনপুকুর ধার, পশ্চিম দন্ডিরহাট, ভ্যাবলা, পুরাতন বাজার এলাকা, হাসনাবাদ, হাড়োয়া, বাদুড়িয়া, মিনাখাঁ, সন্দেশখালি, স্বরূপনগর ও হিঙ্গলগঞ্জের গ্রামের বহু মসজিদ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন