ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা। দেগঙ্গায় তোলা নিজস্ব চিত্র।
চোলাই বন্ধের দাবিতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে, স্লোগান দিয়ে সোমবার বিক্ষোভ দেখাল দেগঙ্গার হাদিপুর আদর্শ হাইস্কুলের পড়ুয়ারা। তাদের অভিযোগ, হাড়োয়া রেলগেটের কাছে চোলাই ব্যবসায়ী ও দুষ্কৃতীদের অত্যাচারে স্কুল-কলেজে আসা দায় হয়ে উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই এ দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাড়োয়া স্টেশন-সংলগ্ন এলাকায় স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা রয়েছে। কয়েক মাস ধরে রেলগেট এলাকায় ব্যাপক হারে চোলাই, হেরোইন, গাঁজা বিক্রি হচ্ছে। জুয়া খেলাও চলছে। জুয়ার আখড়ায় থাকা দুষ্কৃতীরা প্রায়ই যাত্রীদের নানাভাবে হেনস্থা করছে। চুরি, ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা নিত্যদিনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে কটূক্তিও করছে তারা। এলাকার মানুষের অভিযোগ, পুলিশ দুষ্কৃতীদের ধরলেও দু’এক দিনের মধ্যে ছাড়া পেয়ে গিয়ে ফের একই ঘটনা ঘটাচ্ছে তারা।
স্থানীয় হামাদামা আরজি পার্টির সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষে পুলিশের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।” তাঁর অভিযোগ, তারপরেও দিব্যি চলছে চোলাইয়ের ঠেক।
শুক্রবার রাতে স্থানীয় চোলাই ব্যবসায়ী সফিকুল ইসলাম ওরফে লাকিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার ঠেক থেকে কয়েকশো লিটার চোলাই আটকও করে পুলিশ। এর পর থেকেই ওই চোলাই ব্যবসায়ী ও তাদের সাগরেদরা স্থানীয় বাসিন্দাদের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ দিনের বিক্ষোভে পড়ুয়াদের দাবি ছিল, অবিলম্বে হাড়োয়া স্টেশন-সংলগ্ন এলাকা থেকে চোলাই এবং মাদকের ঠেক উচ্ছেদ করতে হবে। পুলিশ চৌকি করে সেখানে টহল দেওয়ার ব্যবস্থা শুরু করতে হবে। স্থানীয় বাসিন্দা বজরুল রহমান, আবু হাসান উমীর বলেন, “যে ভাবে চোলাইয়ের ঠেকে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা বেড়েছে, তাতে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে সময় লাগবে না।” পুলিশের দাবি, অভিযোগ পেয়েই দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। পরে জামিনে ছাড়া পেয়ে ফের একই ব্যবসায় লেগে পড়ছে তারা। তবে সফিকুল যাতে আর চোলাই ব্যবসা না করতে পারে সে বিষয়টি দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্তারা।