দত্তপুকুরের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র আকাশ মণ্ডলকে খুনের অভিযোগে কর্ণাটক থেকে গ্রেফতার করা হল তার মায়ের প্রেমিককে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম সুমন মল্লিক। বৃহস্পতিবার বারাসত জেলা আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। কিছু দিন আগে আকাশের মা আফরোজা বিবিকেও ছেলেকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, জেরায় সে জানায় সুমনই তার ছেলেকে খুন করেছিল।
১৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মারফত খবর পেয়ে বনগাঁ-শিয়ালদহ শাখার গুমা স্টেশনের কাছের একটি বাগান থেকে এক অজ্ঞাতপরিচয় বালকের দেহ উদ্ধার করা হয়। খুনের মামলা রুজু করে হাবরা থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করার পরে ২১ সেপ্টেম্বর দত্তপুকুরের জনৈক বাসিন্দা পিন্টু মণ্ডল বারাসত হাসপাতালের মর্গে দেহ সনাক্ত করে দাবি করেন, সেটি তাঁর ছেলে আকাশের (১৪)। সে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিল। নিখোঁজ হওয়ার দিনও দত্তপুকুরের নিবাদুই হাইস্কুলের ওই ছাত্র স্কুলে গিয়েছিল। এরপরে পিন্টুবাবু থানায় স্ত্রী ও সুমনের বিরুদ্ধে ছেলেকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গুমা স্টেশনের কাছে একটি বাড়িতে পিন্টুবাবু স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন। তদন্তে নেমে জানা যায়, আফরোজার প্রেমিক, আদতে বাংলাদেশি সুমনও গুমায় এসে বাসা ভাড়া করে। নিখোঁজ হওয়ার আগে স্কুল থেকে ফিরে আকাশ সুমনের বাড়িতেই গিয়েছিল।
পরিবারের অভিযোগ, মায়ের সঙ্গে সুমনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেছিল আকাশ। প্রতিবাদ করে বাবাকে সব কথা জানিয়ে দিতে চায়। সে জন্যই তাকে পরিকল্পনা করে খুন করে আফরোজা ও সুমন।