ডায়মন্ড হারবারে পাল্টা সভায় সুর চড়ালেন তৃণমূল নেতারা

শাসকদলের সমালোচনা যে মেনে নেবে না তৃণমূল, তা ফের স্পষ্ট করে দিলেন দলীয় নেতারা। যে ভাবে ২৩ অগস্ট ‘আক্রান্ত আমরা’-র মঞ্চে উঠে বিক্ষোভ দেখিয়ে সভা ভন্ডুল করে দিয়েছিল তৃণমূল নেতা-কর্মীরা, সেই ভাবেই ফের ‘প্রতিবাদ’ করা হবে, জানালেন এলাকার বিধায়ক তৃণমূলের দীপক হালদার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৪ ০১:৪৩
Share:

মঞ্চে বসে বিধায়ক-সহ বাকি নেতারা।—নিজস্ব চিত্র।

শাসকদলের সমালোচনা যে মেনে নেবে না তৃণমূল, তা ফের স্পষ্ট করে দিলেন দলীয় নেতারা। যে ভাবে ২৩ অগস্ট ‘আক্রান্ত আমরা’-র মঞ্চে উঠে বিক্ষোভ দেখিয়ে সভা ভন্ডুল করে দিয়েছিল তৃণমূল নেতা-কর্মীরা, সেই ভাবেই ফের ‘প্রতিবাদ’ করা হবে, জানালেন এলাকার বিধায়ক তৃণমূলের দীপক হালদার। এমনকী, ধর্ষণের প্রসঙ্গ তুললে ডায়মন্ড হারবার থেকে কেউ ‘ফিরতে পারবে না,’ এমন কথাও বলেন। বুধবার ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূলের ধিক্কার সভার মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সেদিনের ঘটনার দুই মূল অভিযুক্ত, মিন্টু তিওয়ারি ও অমিত সাহা।

Advertisement

গত ২৩ অগস্ট ডায়মন্ড হারবার বাস স্ট্যান্ডেই সভা করে ‘আমরা আক্রান্ত’-র তরফে শিলাদিত্য চৌধুরী, অম্বিকেশ মহাপাত্র, প্রদীপ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ বক্তৃতা দিতে যান। সেই সভা ভন্ডুল করে দেয় তৃণমূল। তাঁদের অভিযোগ ছিল, বক্তারা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুৎসা করেছেন। সভায় হামলা চালানোর জন্য মিন্টু ও অমিতকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। পরে তাঁরা জামিন পান। তৃণমূলের তরফেও পাল্টা মারধরের অভিযোগ দায়ের হয়। সভা ভন্ডুল করার প্রতিবাদে তৃণমূল-বিরোধীরা মিছিলও করেন শহরে।

তারই পাল্টা সভা হয় বুধবার। এ দিন মঞ্চে তৃণমূল নেতারা বলেন, ২৩ অগস্ট ওই সভায় ‘আমরা আক্রান্ত’ সদস্য অম্বিকেশ মহাপাত্র, মইদুল ইসলাম প্রমুখ কটুক্তি করেন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। বিধায়ক দীপকবাবু বলেন, “যে কোনও রাজনৈতিক দলেরই মন্তব্য করার অধিকার রয়েছে। তবে ভাষা সংযত রেখে আক্রমণ করা উচিত। উন্নয়নের লড়াই করুক। কিন্তু মা-বোনদের ধর্ষণের কথা বললে ডায়মন্ড হারবার থেকে কেউ ফিরে যাবে না।” তাঁর দাবি, “ধর্ষণ ছিল, এখনও আছে। ধর্ষণ আমরা কেউ সমর্থন করি না।” তবে অন্যান্য রাজ্যের চাইতে এ রাজ্যে ধর্ষণ ক্রমশ কমছে বলে তাঁর দাবি।

Advertisement

এ দিন তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সহ-সভাপতি শক্তিপদ মণ্ডল বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অসম্মান করলে, কুৎসা রটালে আমরা ছেড়ে দেব না। একটি চড় খেলে আমরা তিনটি চড় মারব।” তবে তৃণমূল সংযত ও শৃঙ্খলাবদ্ধ দল, দাবি করেন তিনি। সভায় বক্তারা দাবি করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও অন্যায়কে প্রশ্রয় দেন না বলেই শম্ভুনাথ কাউ, আরাবুল ইসলাম, কুনাল ঘোষরা গ্রেফতার হয়েছেন।

‘আক্রান্ত আমরা’-র সভায় তৃণমূল আক্রমণ করার প্রতিবাদে এপিডিআর-এর তরফেও পোস্টার পড়েছে শহরে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন