তৃণমূলে এসে ‘পদোন্নতি’ হল প্রাক্তন সিপিআই নেত্রীর

সিপিএমের সঙ্গে জোটে থাকার সময়ে ছিলেন উপপ্রধান। তৃণমূলে যোগ দিয়ে বসিরহাটের চাঁপাপুকুর পঞ্চায়েতের প্রধান হলেন সিপিআইয়ের প্রাক্তন নেত্রী কল্যাণী দাস। জোট ভেঙে যাওয়ায় পঞ্চায়েতটিও হাতছাড়া হয়েছে সিপিএমের। বুধবার, প্রধান নির্বাচনের আগে পঞ্চায়েতের সামনে মঞ্চ বেঁধে উৎসবের মেজাজে সভা করে তৃণমূল। উপস্থিত ছিলেন বসিরহাটের সাংসদ ইদ্রিস আলি, বসিরহাট উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক এটিএম আব্দুল্লা রনি প্রমুখ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:০৯
Share:

সিপিএমের সঙ্গে জোটে থাকার সময়ে ছিলেন উপপ্রধান। তৃণমূলে যোগ দিয়ে বসিরহাটের চাঁপাপুকুর পঞ্চায়েতের প্রধান হলেন সিপিআইয়ের প্রাক্তন নেত্রী কল্যাণী দাস। জোট ভেঙে যাওয়ায় পঞ্চায়েতটিও হাতছাড়া হয়েছে সিপিএমের। বুধবার, প্রধান নির্বাচনের আগে পঞ্চায়েতের সামনে মঞ্চ বেঁধে উৎসবের মেজাজে সভা করে তৃণমূল। উপস্থিত ছিলেন বসিরহাটের সাংসদ ইদ্রিস আলি, বসিরহাট উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক এটিএম আব্দুল্লা রনি প্রমুখ।

Advertisement

ব্লক প্রশাসন এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাটের চাঁপাপুকুর পঞ্চায়েতে মোট আসন ১৮টি। ২০১৩ সালের ভোটে সিপিএম পেয়েছিল ১২টি আসন। তৃণমূল পেয়েছিল ৩টি। কংগ্রেস জয়ী হয় ২টি আসনে। ১টি আসন পায় সিপিআই। এই ফলাফলের পরে সিপিএমের টিঙ্কু দাস প্রধান এবং সিপিআইয়ের কল্যানী দাস উপপ্রধান হয়েছিলেন। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই এলাকায় উন্নয়নের কাজ হচ্ছে না, এই অভিযোগে কংগ্রেসের দুই সদস্য এবং সিপিআই-সিপিএমের ৭ জন তৃণমূলে যোগ দেন। সিপিএমের বোর্ড সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে।

গত ২১ অগস্ট তৃণমূলের ১২ জন সিপিএমের প্রধানের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ, দুর্নীতি, অনুন্নয়নের অভিযোগে অনাস্থা প্রস্তাব আনে। ১১ সেপ্টেম্বর অনাস্থার উপরে ভোটাভুটিতে সিপিএম যোগ দেয়নি। ১২-০ ব্যবধানে জয়ী হয় তৃণমূল। এ দিন ছিল প্রধান নির্বাচনে গণ্ডগোলের আশঙ্কায় পঞ্চায়েতের ভিতরে এবং বাইরে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছিল।

Advertisement

কল্যাণী দাস বলেন, “মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছিলেন এলাকার উন্নয়নের কাজ করার জন্য। কিন্তু সিপিএম নেতারা কাজ করতে দিচ্ছিলেন না। তাই মমতার উন্নয়নমুখী কাজের শরিক হতে দলীয় সমর্থকদের নিয়ে সিপিআই ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।” নাজমুল হক নামে সিপিএম ছেড়ে আসা এক সদস্য বলেন, “মানুষের জন্য কাজ করব বলেই তো সিপিএমের হয়ে সদস্য হয়েছিলাম। কিন্তু গত এক বছরে দেখলাম, নেতাদের ঠিক করা ছাড়া মানুষের কাজ করা অসম্ভব।” টিঙ্কুর মোবাইল বন্ধ থাকায় চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। সিপিএমের দাবি, দলীয় সদস্যদের ভুল বুঝিয়ে নিজেদের পক্ষে নেওয়ার এই প্রবণতার জন্য আগামী দিনে তৃণমূলকে মানুষ উপযুক্ত উত্তর দেবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন