তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি বসিরহাটে

তৃণমূল নেতার উপরে গুলি চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক কংগ্রেস কর্মীকে। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম পঙ্কজ সর্দার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৪ ০১:০২
Share:

জখম নেতা।—নিজস্ব চিত্র।

তৃণমূল নেতার উপরে গুলি চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক কংগ্রেস কর্মীকে। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম পঙ্কজ সর্দার। আহত অশোক বৈরাগীকে স্থানীয় মানুষ উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাঁকে পাঠানো হয় কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে। চিকিত্‌সকেরা জানিয়েছেন, অশোকবাবুর শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ প্ল্যাটফর্মের একটি চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন তৃণমূল বুথ কমিটির ওই নেতা। সে সময়ে পঙ্কজ তার এক সঙ্গীকে নিয়ে সেখানে হাজির হয়। শুরু হয় বচসা। অভিযোগ, সে সময়ে অশোককে লক্ষ্য করে কাছ থেকে গুলি চালায় পঙ্কজ। গুলি করে পালিয়ে গিয়েছিল সে। তবে পুলিশ পরে তাকে গ্রেফতার করে। পঙ্কজের সঙ্গীর খোঁজ চলছে বলে থানা সূত্রের খবর। পুলিশ জানায়, কয়েক মাস আগে স্টেশন-সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা যুব কংগ্রেস নেতা পরিমল সর্দার খুন হন। সেই ঘটনায় অভিযোগ ওঠে অশোক বৈরাগীর বিরুদ্ধে। ধৃত পঙ্কজ আবার পরিমলের ভাই। পুরনো আক্রোশ থেকেই পঙ্কজ অশোকবাবুকে গুলি চালায় বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অনুমান। পরিমল খুনের পরে পরেই অশোকের উপরে আরও এক বার হামলা হয়েছিল। সে বার গুলি লাগে হাতে। অশোকবাবুর ভাই হারাণ বলেন, “দাদাকে খুনই করতে এসেছিল পঙ্কজ।”

Advertisement

প্রাথমিক তদন্তের পরে অবশ্য পুলিশ মনে করছে, কয়েক দিন আগে বসিরহাট স্টেশন থেকে রেলের টিকিট রির্জাভেশনের দালালি নিয়ে গণ্ডগোল বাধে অশোক ও পঙ্কজের। এলাকা দখল নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই দু’পক্ষের ঝামেলা চলছিল। তার জেরেই হামলা হয়েছে।

খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অবশ্য দাবি করেছেন, “রাজনৈতিক কারণেই আমাদের কর্মীর উপরে গুলি চালিয়েছে কংগ্রেসের লোক। তাতে মদত আছে বিজেপিরও।” অভিযুক্তদের সকলকে গ্রেফতারের পাশাপাশি ঘটনায় মদতদাতাদেরও ধরার দাবি তুলেছেন তিনি। অভিযোগ অস্বীকার করে কংগ্রেস নেতা বাবলি বসু বলেন, “আমাদের দলের কেউ এই ঘটনায় যুক্ত নয়। এলাকা দখলের লড়াইয়ে শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে।” ঘটনার সঙ্গে তাদের দলের কারও কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বিজেপি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন