তাঁর কাছে আসতেন কপিল, ফের জানালেন গৌতম দেব

বনগাঁর প্রয়াত তৃণমূল সাংসদ যে তাঁদেরই দলের ঘনিষ্ঠ ছিলেন, প্রচারে এসে সে কথা ফের মনে করিয়ে দিলেন সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা সভাপতি গৌতম দেব। শনিবার বনগাঁয় বাম প্রার্থী দেবেশ দাসের সমর্থনে হাবরার নকপুল জনসভা করেন গৌতমবাবু। সঙ্গে ছিলেন দলের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য বাবুল কর, অশোকনগরের প্রাক্তন বিধায়ক সত্যসেবী কর, স্থানীয় সিপিএম নেতা অসীম ঘোষ প্রমুখ। গৌতমবাবু বলেন, “নানা কাজে কপিলবাবু আমার সল্টলেকের বাড়িতে ৮-১০ বার গিয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাবরা শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০০:৩৬
Share:

সভায় নেতা। নিজস্ব চিত্র।

বনগাঁর প্রয়াত তৃণমূল সাংসদ যে তাঁদেরই দলের ঘনিষ্ঠ ছিলেন, প্রচারে এসে সে কথা ফের মনে করিয়ে দিলেন সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা সভাপতি গৌতম দেব।

Advertisement

শনিবার বনগাঁয় বাম প্রার্থী দেবেশ দাসের সমর্থনে হাবরার নকপুল জনসভা করেন গৌতমবাবু। সঙ্গে ছিলেন দলের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য বাবুল কর, অশোকনগরের প্রাক্তন বিধায়ক সত্যসেবী কর, স্থানীয় সিপিএম নেতা অসীম ঘোষ প্রমুখ। গৌতমবাবু বলেন, “নানা কাজে কপিলবাবু আমার সল্টলেকের বাড়িতে ৮-১০ বার গিয়েছিলেন। শান্তশিষ্ট ভাল মানুষ ছিলেন। আমি তো ওঁকে খারাপ কিছু দেখিনি। উনি লেখাপড়াও করতেন।” এই প্রসঙ্গেই মতুয়াদের নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপি রাজনীতি করছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

তবে তৃণমূল-বিজেপির বিরুদ্ধে মতু।াদের নিয়ে রাজনীতি করার মতো অভিযোগ আনলেও গৌতমবাবু মতুয়া ধর্মগুরুদের যে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন, তা-ও ভোটের রাজনীতির দিকে তাকিয়েই এমনটা কটাক্ষ করছেন বিরোধীরা। বিশেষত, মতুয়া বাড়ির দুই সদস্য দু’পক্ষের হয়ে ভোটে দাঁড়ানোয় সিপিএম সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে চাইছে সিপিএম, এমনও বলছেন তাঁরা।

Advertisement

গৌতমবাবু জানান, বাংলায় বহু স্কুল তৈরির পিছনে মতুয়াদের ধর্মগুরু গুরুচাঁদ ঠাকুরের ভূমিকা ছিল। সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাজা রামমোহনের পাশাপাশি হরিচাঁদ ঠাকুর ও গুরুচাঁদ ঠাকুররেও অবদান ছিল বলে জানান তিনি। গৌতমবাবুর কথায়, “হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের ওই সব অবদানের কথা আমাদের জানা উচিত। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমরা তা জানি না। ইতিহাসের পাতায় হরিচাঁদের জায়গা হতে পারত।”

উদ্বাস্তু আন্দোলনে বিজেপি বা জনসঙ্ঘের কোনও অবদান নেই জানিয়ে গৌতমবাবু বলেন, “মঙ্গলবার ৮০ হাজার উদ্বাস্তুদের দিয়ে বারাসত ঘিরে ফেলা হবে। ওদের প্রত্যকের নাগরিকত্ব দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর কাছেও আমরা ওই দাবি নিয়ে যাব।” ওই দিন বারাসতের কাছারি ময়দানে উদ্বাস্তুদের নিয়ে সমাবেশের কথা অবশ্য আগেও জানিয়েছিলেন গৌতমবাবু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন