প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠল স্কুলেরই তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে বাগদার নাটাবেড়িয়া এফপি স্কুলে। প্রহৃত প্রধান শিক্ষক শঙ্করকুমার সর বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। তবে এই ঘটনায় পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ করেননি তিনি। রবিবার হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে শঙ্করবাবু বলেন, “সোমবার স্কুলে বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে আলোচনার পরে থানায় অভিযোগ করা হবে কিনা, তা ঠিক করব।” রবিবার স্কুল ছুটি থাকায় অভিযুক্ত শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি সম্রাট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “প্রধান শিক্ষককে মারধরের বিষয়টি এ দিনই জেনেছি। এমনটা ঘটে থাকলে তা নিন্দনীয়। সোমবার তদন্তের নির্দেশ দেব। তার আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হবে। প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রধান শিক্ষকের দাবি, স্কুলের কয়েক জন শিক্ষক রোজই স্কুল ছুটির নির্দিষ্ট সময়ের আগে বাড়ি চলে যান। তিনি প্রতিবাদ করেছিলেন বলে রাগ ছিল ওই শিক্ষকদের। দিন কয়েক আগে ওই শিক্ষকদের বেলা সাড়ে ৩টে নাগাদ বাড়ি ফেরার তোড়জোর করতে দেখে প্রধান শিক্ষক বলেন, সকলকে ৪টে পর্যন্ত থেকে যেতে হবে। ওই শিক্ষকেরা অবশ্য প্রধান শিক্ষকের নির্দেশ না মেনেই বাড়ি চলে যান। হাজিরা খাতায় ওই শিক্ষকদের স্কুল থেকে বেরনোর সময় নথিভুক্ত করে রাখেন শঙ্করবাবু।
শনিবার ওই শিক্ষকেরা স্কুলে এসে হাজিরা খাতা দেখার পরে চিত্কার-চেঁচামিচি জোড়েন। অভিযোগে, শঙ্করবাবুর উপরে চড়াও হয়ে তাঁকে কিল-ঘুষি-চড় মারেন। স্কুলের ঘণ্টা বাজানোর কাঠের হাতুড়ি দিয়েও পেটানো হয়। শঙ্করবাবু অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে নাটাবেড়িয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তিনি বাড়ি ফেরেন। কিন্তু ফের অসুস্থ বোধ করলে ওই দিনই তাঁকে ভর্তি করা হয় বনগাঁ হাসপাতালে।