এই সেই ট্রলি ভ্যান। ছবি: অরুণ লোধ।
ফুটপাথকে সাধারণ মানুষের চলার উপযোগী করার পাশাপাশি দারিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী মহিলাদের স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে প্রায় ৪০ জন মহিলাকে বিনা পয়সায় ‘ট্রলি ভ্যান’ দিল বজবজ পুরসভা। এর আগে কলকাতা শহরের ফুটপাথকে চলাচলের উপযুক্ত রাখতে চলমান ভ্যান দিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। সে পথেই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন বজবজ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তৃণমূলের গৌতম দাশগুপ্ত।
পুর-এলাকার রাস্তা চওড়া করার কাজ চলছে। কিন্তু ফুটপাথে হকার থাকায় পথচলতি মানুষের অসুবিধা হয়। রুটিরুজির কারণ দেখিয়ে ফুটপাথ থেকে হকারদের উচ্ছেদ করতে চায় না পুরসভা। তাই বজবজের প্লাস্টার মোড়ে পাকাপাকি দোকানের ব্যবস্থা করেছে পুরসভা। এ বার মহিলাদের রোজগার বাড়াতে এই ভ্যানের ব্যবস্থা করলেন পুর-কর্তৃপক্ষ।
পুরসভা সূত্রের খবর, স্বর্ণজয়ন্তী রোজগার যোজনার অধীনে ‘কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি’ বিভিন্ন এলাকায় দারিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী মহিলাদের নিয়ে সংগঠন চালান। গৌতমবাবু জানান, প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে দু’জন মহিলাকে বেছে নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয় ওই সোসাইটিকে। তাঁরাই সার্ভে করে প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে দু’জন করে মোট ৪০ জন মহিলাকে বাছাই করেন। তার পরে সেই ৪০ জনকে একটি করে ট্রলি ভ্যান দেওয়া হয়। যার বাজার মূল্য ১৫ হাজার টাকা। এর ফলে মহিলারা যেমন স্বনির্ভর হতে পারবেন তেমনই বিভিন্ন কলেজ, স্কুল পড়ুয়ারাও বাড়তি সুবিধা পাবেন।
গৌতমবাবু বলেন, “বিভিন্ন স্কুল কলেজের সামনে পড়ুয়ারা খাবার পান না। কারণ, বহু জায়গায় খাবারের দোকান নেই। কিন্তু ট্রলি ভ্যান থাকার ফলে সহজেই খাবার পাওয়া যাবে।” পাশাপাশি ফুটপাথে হকার বসা কমবে।” সারা দিন ফুটপাথে থাকলেও দিনের শেষে ওই ট্রলি ভ্যান বা অস্থায়ী দোকান সরিয়ে নেওয়া হবে। ফলে ফুটপাথ পরিষ্কার থাকবে।
তৃণমূল পুরসভার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সিপিএমও। পুরসভার বিরোধী নেতা সিপিএমের প্রদ্যুত্ মজুমদার বলেন, “কাজটি প্রশংসনীয়। ট্রলি ভ্যান দেওয়ার ফলে বেশ কিছু মানুষের কর্মসংস্থান হবে।”