ফকিরচাঁদ কলেজে মারপিটে জখম

ফের টিএমসিপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফকিরচাঁদ কলেজে। ভরদুপুরে দুই ছাত্রগোষ্ঠীর মারপিটে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি দুই ছাত্রী ও তিন ছাত্র। বাকি আরও কয়েকজন আহত ছাত্রকে চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিছু দিন আগেই প্রথম বর্ষের ছাত্রদের উপরে প্রভাব বিস্তার করা নিয়ে একই ভাবে ঝামেলায় জড়ায় দুই গোষ্ঠীর ছাত্রেরা। সে বার আহত হয়েছিলেন দুই ছাত্র।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০২:৪৩
Share:

জখম মালা মণ্ডল ও সৌম্য নস্কর। নিজস্ব চিত্র।

ফের টিএমসিপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফকিরচাঁদ কলেজে। ভরদুপুরে দুই ছাত্রগোষ্ঠীর মারপিটে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি দুই ছাত্রী ও তিন ছাত্র। বাকি আরও কয়েকজন আহত ছাত্রকে চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিছু দিন আগেই প্রথম বর্ষের ছাত্রদের উপরে প্রভাব বিস্তার করা নিয়ে একই ভাবে ঝামেলায় জড়ায় দুই গোষ্ঠীর ছাত্রেরা। সে বার আহত হয়েছিলেন দুই ছাত্র।

Advertisement

পুলিশ এবং কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করার জন্য ছাত্র সংগঠনের তরফে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কিছু ছাত্র স্লোগান দিচ্ছিল। পরে তৃণমূল পরিচালিত ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সৌম্য নস্করের নতৃত্বে আরও একটি স্কোয়াড গড়ে ছাত্রেরা স্লোগান দিতে গেলে দুই দলের মধ্যে ঝামেলা হয়। মারপিটে আহত হন সৌম্যবাবু, প্রথম বর্ষের ছাত্র রাজা নস্কর এবং প্রীতম হালদার, দ্বিতীয় বর্ষের রচনা সেনগুপ্ত এবং তৃতীয় বর্ষের মালা মণ্ডলও আহত হয়েছেন। সৌম্যর কথায়, ‘‘কলেজে আমরা যখন ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক দীপক হালদারের নামে স্লোগান দিচ্ছিলাম, তখনই উমাপদ পুরকাইতের নেতৃত্বে কিছু বহিরাগত এসে আমাদের প্রচণ্ড গালাগাল করে, মারধর করে।’’ উমাপদবাবু তৃণমূলের ডায়মন্ড হারবার ১ ব্লক সভাপতি। দীপকবাবুর বিরোধী শিবিরের নেতা বলেই পরিচিত। অন্য দিকে, মালা মণ্ডলের পাল্টা দাবি, তাঁরা স্লোগান দিতে শুরু করলে চড়াও হন সৌম্য-সহ আরও কয়েক জন ছাত্র। উমাপদবাবুর দাবি, তিনি এ দিন কলেজে অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। কলেজে থাকাকালীন কোনও ঝামেলা হয়নি। দীপকবাবু বলেন, ‘‘শুনেছি, ছাত্র সংসদের কিছু ছেলে মার খেয়েছে। ঘটনা বিস্তারিত জানি না।’’

রাত পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে। অধ্যক্ষ সুবীরেশ ভট্টাচার্যের দাবি, তিনি মারপিটের বিষয়টি শোনেননি। ঝামেলার সময়ে অবশ্য কলেজেই ছিলেন অধ্যক্ষ।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন