বাগদায় তৃণমূলের সভা ঘিরে অন্তর্দ্বন্দ্ব

তৃণমূলের ডাকা এক পথসভায় বিতর্কিত বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ফের প্রকাশ্যে এল বাগদায় তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাগদা শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৪ ০২:২০
Share:

তৃণমূলের ডাকা এক পথসভায় বিতর্কিত বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ফের প্রকাশ্যে এল বাগদায় তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়, একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি, রেলের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদ-সহ বিভিন্ন বিষয়ের উপরে বাগদার হেলেঞ্চা বাজারে পথসভার আয়োজন করে স্থানীয় তৃণমূল। আয়োজক ছিলেন বাগদা ব্লকের তৃণমূল সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অভিযোগ, ওই সভায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি জয়ন্ত বিশ্বাস স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস ও তাঁর আপ্ত সহায়ক তন্ময় চক্রবর্তী-সহ কয়েক জনের নামে কটূক্তি করেন বলে অভিযোগ। এমনকী, তাঁদের হুমকি পর্যন্ত দেন। যার জেরে দলের স্থানীয় কর্মী-নেতাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। শুধু তাই নয়, ওই বক্তব্যের জেরে দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা আক্রান্ত হতে পারেন, এই আশঙ্কা করে গৌতম বিশ্বাস নামে এক তৃণমূল কর্মী জয়ন্তবাবুর বিরুদ্ধে বাগদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অন্য দিকে, জয়ন্তবাবুর মা মিলিদেবী থানায় পাল্টা অভিযোগ দায়ের করে দাবি করেন, বৃহস্পতিবার রাতে কিছু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক তাঁর বাড়িতে চড়াও হন। তাঁদেরকে হুমকি দেওয়া হয়। ঘরে ঢুকে জিনিসপত্র লন্ডভন্ড করা হয়। জয়ন্তবাবু বলেন, ‘‘গোটা ঘটনায় আমি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি।’’

বাগদায় দলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কলহ অবশ্য নতুন কোনও ঘটনা নয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কে হবেন, দলের বিভিন্ন পদে কে থাকবেন তা নিয়ে অতীতে একাধিকবার কোন্দল দেখা গিয়েছে। বৃহস্পতিরবারের ঘটনা প্রসঙ্গে দিলীপবাবু জানান, সভায় জয়ন্তবাবু আপত্তিকর কোনও কথা বলেননি। তাঁর বক্তব্য নিয়ে কোনও আপত্তি থাকলে তা দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো যেত। এ ভাবে তাঁর বাড়িতে চড়াও হওয়াটা ঠিক হয়নি বলে তিনি মনে করেন। বাগদা ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি অবশ্য সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “জয়ন্তবাবুর বাড়িতে কেউই ঢোকেনি। রাস্তায় দাঁড়িয়ে বলা হয়েছিল, তাঁর কোনও বক্তব্য থাকলে তা দলের বৈঠকে জানাতে পারতেন। এ ভাবে জনসমক্ষে তাঁর বক্তব্য দলেরই ভাবমূর্তিকে নষ্ট করছে।”

Advertisement

তৃণমূল নেতার বাড়িতে হামলার ঘটনায় তদন্ত করছে পুলিশ। সাধারণ তৃণমূল নেতা-কর্মীরা গোটা ঘটনার নিন্দা করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক তৃণমূল শিক্ষক সমিতির বাগদার সভাপতি অঘোর হালদার বলেন ‘‘দু’টি ঘটনাই নিন্দাজনক’’। শুক্রবার দুপুরে উপেনবাবু বলেন ‘‘আমি কিছুই জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন