বিজেপি কর্মীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মারধর

এক বিজেপি কর্মীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ঘণ্টা দু’য়েক আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে। ঘর থেকে প্রায় ২ লক্ষ টাকা লুঠ করারও অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে গাইঘাটা থানার শিমুলপুর এলাকায়। জখম নিত্যানন্দ গাইনকে প্রথমে ঠাকুরনগরে চাঁদপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পাঠানো ভর্তি করা হয় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে। বনগাঁর এসডিপিও মীর সহিদুল আলি বলেন, ‘‘ওই ব্যক্তির স্ত্রী একটি অভিযোগ করেছেন। তদন্ত শুরু হয়েছে।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গাইঘাটা শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৪ ০১:২৪
Share:

হাসপাতালে প্রহৃত নিত্যানন্দ।—নিজস্ব চিত্র।

এক বিজেপি কর্মীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ঘণ্টা দু’য়েক আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে। ঘর থেকে প্রায় ২ লক্ষ টাকা লুঠ করারও অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে গাইঘাটা থানার শিমুলপুর এলাকায়।

Advertisement

জখম নিত্যানন্দ গাইনকে প্রথমে ঠাকুরনগরে চাঁদপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পাঠানো ভর্তি করা হয় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে। বনগাঁর এসডিপিও মীর সহিদুল আলি বলেন, ‘‘ওই ব্যক্তির স্ত্রী একটি অভিযোগ করেছেন। তদন্ত শুরু হয়েছে।”

বিজেপি নেতা কেডি বিশ্বাস জানান, নিত্যানন্দবাবু তাঁদের দলের সক্রিয় কর্মী। তাঁকে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে। বাড়িতে ঢুকে ডাকাতি করা হয়েছে।” তাঁর অভিযোগ, বিজেপি করার জন্যই এই হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। যদিও তৃণমূলের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি ধ্যানেশ নারায়ণ গুহ বলেন, ‘‘ওই ঘটনায় দলের কেউ যুক্ত নয়। দলের নির্দেশ আছে, এ ধরনের কাজ করা যাবে না। কেউ করে থাকলেও ব্যক্তিস্বার্থে করেছে। দল কোনও ভাবেই তাতে যুক্ত নয়।’’

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঠাকুরনগরের শিমুলপুরে বাড়ি ভাড়া করে থাকেন বছর বেয়াল্লিশের নিত্যানন্দবাবু। পেশায় কাঠমিস্ত্রি ওই ব্যক্তি লোকসভা ভোটে তিনি বিজেপির মিটিং-মিছিলে গিয়েছিলেন। এ দিন সকালে তিনি বাড়ির কাছেই বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। অভিযোগ,৭-৮ জনের একটি দল তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়। সে সময়ে বাড়িতে ছিলেন নিত্যানন্দবাবুর স্ত্রী বিমলাদেবী। তিনি বলেন, ‘‘বাড়িতে ঢুকে ওরা হুমকি দিয়ে বলে, বিজেপি করা ঘুচিয়ে দেব। আমাকে দিয়ে স্বামীকে ফোন করিয়ে বাড়িতে ডাকিয়ে আনে। স্বামী বাড়ি ঢুকতেই ওরা মারতে মারতে তুলে নিয়ে যায়। আমি বাঁচাতে গেলে লাথি মেরে ফেলে দেয়। ভয়ে একটি দোকানের মধ্যে গিয়ে আশ্রয় নিই।’’

পরিবাটির দাবি, মারধর করে নিত্যানন্দবাবুকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয় কাছেই একটি দোকানের পিছনে। সেখানে বাঁশ-লাঠি-চেলাকাঠ দিয়ে মারধর করা হয়। বলা হয় ৬ লক্ষ টাকা দিতে হবে। তার আগেই অবশ্য ঘরে ঢুকে তারা সমস্ত জিনিস তছনছ করেছে তারা। অভিযোগ, নগদ ১ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা লুঠও করে।

হাসপাতালে শুয়ে নিত্যানন্দবাবু বলেন, ‘‘মারধরের সময় ওরা বলছিল, বিজেপি করা ঘুচিয়ে দেবো। হামলাকারীরা সকলেই তৃণমূল করে।’’ ওই বিজেপি কর্মী জানান, স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছে তিনি আড়াই লক্ষ টাকা পেতেন। ওই টাকার জন্য তিনি চাপ দিচ্ছিলেন সম্প্রতি। ওই ব্যক্তি আবার তৃণমূল করেন। সে কারণেই দলের লোকজনকে ডেকে এনে হামলা করে থাকতে পারেন। তিনি বলেন, “অন্য কারণ যা-ই থাক, আমি বিজেপি করি কেন, সে প্রশ্নই বার বার করছিল হামলাকারীরা।” বিমলাদেবীর কথায়, ‘‘দীর্ঘদিনের চেষ্টায় কিছু টাকা জমিয়েছিলাম জমি কিনে বাড়ি করব বলে। সব আশা শেষ হয়ে গেল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন