ভাঙচুর হওয়া বাড়ি।—নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ও দোকানে ভাঙচুরের অভিযোগে দুই তৃণমূল সমর্থককে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে বাসন্তীর ফুলমালঞ্চের দক্ষিণ পানিখালিতে। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সন্ধ্যায় সাইফুল মোল্লা এবং হানিফ আলি মোল্লা নামে ওই তৃণমূল সমর্থককে দু’জনকে ধরে পুলিশ। ধৃতদের দাবি, মিথ্যা অভিযোগে তাঁদের ফাঁসানো হয়েছে। তৃণমূলের তরফে থানায় পাল্টা অভিযোগ করা হয়েছে বিজেপির লোকজনের বিরুদ্ধে।
পুলিশ জানায়, সভা উপলক্ষে এ দিন সকালে দক্ষিণ পানিখালিতে পতাকা লাগাচ্ছিলেন বিজেপি কর্মীরা। অভিযোগ, সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ফুলমালঞ্চ পঞ্চায়েতের প্রধান, তৃণমূল নেতা আবতার মোল্লার নেতৃত্বে একদল লোক তাঁদের উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা ওই বিজেপি কর্মীদের বাড়ি এবং দোকানে চড়াও হয়। রমজান আলি মোল্লা, আজগার আলি মোল্লা, নাজিরউদ্দিন মোল্লা এবং বসিরউদ্দিন মোল্লা নামে চার বিজেপি কর্মীর বাড়ি ও দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়। বিজেপির দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি দেবতোষ আচার্য বলেন, “ওদের পায়ের তলার মাটি ক্রমে সরে যাচ্ছে। তাতেই ওরা মরিয়া হয়ে উঠেছে। সামান্য পতাকা লাগানোতেই যে ভাবে আমাদের কর্মীদের বাড়িতে এবং দোকানে হামলা করল, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়।”
আবতার মোল্লা অবশ্য বলেন, “ওই ঘটনায় আমি জড়িত নই। যখন গণ্ডগোল হচ্ছিল, তখন ওই এলাকা থেকে আসছিলাম। ওরা আমাকে মিথ্যা বদনাম দিয়ে ফাঁসাতে চাইছে।” গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, “বিজেপির লোকজন আমাদের দলীয় পতাকা ওরা ছিড়ে দেয়, পুড়িয়ে দেয়। তা নিয়ে আমাদের কর্মীরা প্রতিবাদ করলে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। গণ্ডগোলের জেরে কয়েকটি দোকান এবং বাড়িতে ভাঙচুর হয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, দু’পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
এ দিকে, এ দিনই নফরগঞ্জে বিজেপি-র জনসভায় আরএসপি-র পঞ্চায়েত সদস্য ববলি বারুইয়ের নেতৃত্বে প্রায় একশো জন বিজেপিতে যোগ দেন। তৃণমূলের স্থানীয় নেতা ইদ্রিশ মোল্লার নেতৃত্বেও ওই দলের শ’খানেক কর্মী-সমর্থক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।