আনন্দবাজারের সাফল্য

বাড়তি টাকা ফেরাচ্ছে স্কুল

পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলে ভর্তির জন্য বাড়তি টাকা নেওয়া নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কিছু স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছিল ডিএসও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০১৬ ০২:৪০
Share:

পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলে ভর্তির জন্য বাড়তি টাকা নেওয়া নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কিছু স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছিল ডিএসও। এরপরেই ১২ জানুযারি আনন্দবাজারে খবরটি প্রকাশিত হয়েছিল। অবশেষে শিক্ষা দফতর ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ছাত্রদের ফি কমাতে বাধ্য হয়েছেন একটি স্কুল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

কুলতলির ঘটিহারানিয়া হাইস্কুলের স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুভাষ ঘোষ বলেন, ‘‘আন্দোলনের জেরে আমরা ফি কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ কয়েকটি স্কুলের অবশ্য দাবি ছিল পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য বাড়তি টাকা নেওয়া হচ্ছে। জেলা স্কুল পরিদর্শক বাদলকুমার পাত্র জানান, স্কুলের উন্নয়নের জন্য ২৪০ টাকা ভর্তির জন্য ধার্য করা হয়েছিল। তবে স্কুল মনে করলে ওই টাকা নাও নিতে পারে। ২০-৫০ টাকাতেও প়ড়ুয়ারা ভর্তি হতে পারে। আবার যে সমস্ত অভিভাবকদের টাকা দেওয়ার ক্ষমতা নেই তাঁরা বিনা পয়সাতেও পড়াতে পারবেন।

ভর্তির টাকা কমানোর দাবিতে মাসখানেক ধরে আন্দোলন শুরু করছে ডিএসও। ভর্তির ফি কমানোর দাবি ছাড়া তাদের আরও দাবি ছিল সরকারি ভাবে পোশাক কেনার জন্য ৪০০ টাকা দেওয়া হলেও তা ছাত্রছাত্রীদের হাতে দেওয়া হচ্ছে না। স্কুল কর্তৃপক্ষের কেনা পোশাকও নিম্নমানের। কিছু স্কুলে সাইকেল বিতরণের জন্যও টাকা নেওয়া হয়েছে। কুলতলির ঘটিহারানিয়া হাইস্কুলের অভিভাবক শঙ্কর মণ্ডল বলেন, ‘‘ভর্তির জন্য বাড়তি টাকা চেয়েছিল। কিন্তু আনন্দবাজারে খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পরে স্কুল থেকে সেই টাকা কমিয়েছে। এমনকী, স্কুল থেকে নিম্নমানের পোশাক দিয়েছিল। তার জন্যও চারশো টাকা করে ফেরত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement