বধূকে খুনের অভিযোগে ধৃত স্বামী শাশুড়ি দেওর

বধূকে খুনের অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ি ও দেওরকে গ্রেফতার করল গাইঘাটা থানার পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত বধূর নাম স্বপ্না রায় (১৯)।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গাইঘাটা শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৫ ০১:০৭
Share:

বধূকে খুনের অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ি ও দেওরকে গ্রেফতার করল গাইঘাটা থানার পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত বধূর নাম স্বপ্না রায় (১৯)। তাঁকে খুনের অভিযোগে সঞ্জিত মজুমদার, সরজিৎ মজুমদার এবং চঞ্চলা মজুমদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে মৃতের ময়নাতদন্ত করা হয়। স্বপ্নাদেবীর মায়ের অভিযোগে ভিত্তিতে পুলিশ ধৃতদের বিরুদ্ধে খুন বধূ নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দেড়েক আগে গাইঘাটার পূর্ব সোনাটিকাটি এলাকার বাসিন্দা স্বপ্নাদেবীর সঙ্গে দেবীপুরের সঞ্জিতের বিয়ে হয়। স্বপ্নাদেবীর পরিবারের দাবি, মেয়ের শ্বশুরবাড়ির দাবি অনুযায়ী নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা, আসবাব ও সোনার অলঙ্কার দেওয়া হয়েছিল। সঞ্জিত রাজস্থানে হাতুড়ে চিকিৎসকের কাজ করেন। বিয়ের দিন পনেরো পরে স্ত্রীকে নিয়ে রাজস্থানে চলে যান সঞ্জিত। অভিযোগ, রাজস্থানে স্বপ্নাদেবীর দেওর তাঁকে প্রায়ই কটূক্তি করত। তাকে ধর্ষণের চেষ্টাও করে সে। স্বপ্নাদেবী স্বামীকে সে কথা জানালেও তিনি পাত্তা দেননি বলে দাবি। স্ত্রীর উপরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করে সঞ্জিত। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় স্বপ্নাদেবী বাপের বাড়িতে চলে আসেন। পরে তিনি পুত্রসন্তান প্রসব করেন। তার পর স্বপ্নাদেবীকে তাঁর স্বামী ফের রাজস্থান নিয়ে চলে যান। অভিযোগ, সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লেও তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি। দিন দুয়েক আগে স্বপ্নাদেবীর বাপের বাড়িতে খবর আসে স্বপ্না মারা গিয়েছে। সোমবার তার দেহ গাইঘাটাতে আনা হয়। অভিযোগ তাঁর শরীরে ক্ষতের চিহ্ন ছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন