বসিরহাটে খোঁজ নেই গৃহশিক্ষকের

এক গৃহশিক্ষকের নিখোঁজ হওয়াকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বেঁধেছে। এক ছাত্রীর পরিবার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও অশ্লীল ভিডিও তৈরির অভিযোগ করেছে থানায়। ওই শিক্ষকের পরিবারের পাল্টা অভিযোগ, স্থানীয় একটি সাইবার কাফের আপত্তিকর কার্যকলাপ বিষয়ে ওই শিক্ষক প্রতিবাদ করেছিলেন। তার জেরে চারজন গ্রেফতারও হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:১৮
Share:

এক গৃহশিক্ষকের নিখোঁজ হওয়াকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বেঁধেছে। এক ছাত্রীর পরিবার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও অশ্লীল ভিডিও তৈরির অভিযোগ করেছে থানায়। ওই শিক্ষকের পরিবারের পাল্টা অভিযোগ, স্থানীয় একটি সাইবার কাফের আপত্তিকর কার্যকলাপ বিষয়ে ওই শিক্ষক প্রতিবাদ করেছিলেন। তার জেরে চারজন গ্রেফতারও হয়। ওই দুষ্কৃতীরাই ওই ছাত্রীর অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে তার বাবাকে দেখিয়ে তাঁকে বিভ্রান্ত করে। ছাত্রীর বাবার বিরুদ্ধে নিখোঁজ শিক্ষকের পরিবার অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছে। দুই অভিযোগের ভিত্তিতে দু’টি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষাও করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

Advertisement

কিন্তু নানা অসঙ্গতির কারণে ৬৫ বছরের ওই শিক্ষকের অন্তর্ধান ঘিরে রহস্য গাঢ় হচ্ছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর বাড়ি বসিরহাটের হাসনাবাদের একটি গ্রামে। তাঁর বাবা সুতো কারখানার কর্মী। বহুদিন ধরে সেখানকারই ওই শিক্ষকের বাড়িতে পড়তে যেত ওই ছাত্রী। ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে মোবাইলে তাঁর মেয়ের অশ্লীল ভিডিও তোলেন ওই শিক্ষক। গত ৪ নভেম্বর এক পরিচিতের কাছ থেকে তা জানতে পারেন ছাত্রীর মা। পরের দিনই ওই শিক্ষকের বাড়িতে ছাত্রীর বাবা এই বিষয়ে কথা বলতে গেলে তা নিয়ে বচসা বাঁধে। অভিযোগ, পাল্টা হুমকি দেয় শিক্ষকের পরিবার। পরদিনই (৫ নভেম্বর) নিখোঁজ হন ওই শিক্ষক। তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে বলে ওই ছাত্রীর বাবার নামে গত ৯ নভেম্বর অভিযোগ করে শিক্ষকের পরিবার।

অন্য দিকে, ছাত্রীর পরিবারের তরফ থেকে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, অশ্লীল ছবি তোলা, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভয় দেখানো এবং খুনের হুমকির অভিযোগ করা হয় ২৬ নভেম্বর। কেন এতদিন পরে অভিযোগ করা হল, সে বিষয়ে অবশ্য ওই ছাত্রীর মা কোনও স্পষ্ট উত্তর দিতে পারেননি।

Advertisement

ওই শিক্ষকের ভাইয়ের অভিযোগ, পরিকল্পনা করে তাঁর দাদাকে ফাঁসানো হচ্ছে। তিনি বলেন, “এলাকার কিছু ছেলে কম্পিউটারে অবৈধ কাজ করত দেখে দাদা সে কথা পুলিশকে জানান। এর পরেই তাঁকে খুনের হুমকি দিতে থাকে দুষ্কৃতীরা। শোধ তুলতে তারাই মেয়েটির ছবি কম্পিউটারে কারসাজি করে বাজারে ছাড়ে।” ওই শিক্ষক বেশ কিছুদিন নিরুদ্দেশ থাকায় তাঁর কোনও বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে তাঁর পরিবার। তদন্তে নেমে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, ঘটনার পিছনে বড় কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন