বিভিন্ন জেলায় শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাদের দাপটেই নাকি বিরোধীরা কলেজ নির্বাচনে অনেক আসনেই মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি। উত্তর ২৪ পরগনায় অবশ্য উল্টো চিত্র। বিরোধীরা যাতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে অশান্তি সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য কড়া পদক্ষেপ করার ব্যাপারে পুলিশের কাছে আর্জি জানাবে তৃণমূল। যার প্রেক্ষিতে বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলির বক্তব্য, এ বার পুলিশকে ঢাল হিসাবে দাঁড় করিয়ে নিজেরাই সন্ত্রাস করার ফন্দি আঁটছে তৃণমূল।
২৯ জানুয়ারি এই জেলায় কলেজ ভোট। ১৫-১৬-১৭ তারিখ মনোয়পত্র নেওয়া এবং জমা দেওয়ার দিন ঠিক হয়েছে। দলীয় অবস্থান ঠিক করতে রবিবার মধ্যমগ্রামে জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন নেতা-নেত্রীরা। উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য-সহ জেলায় দলের বিধায়ক, ছাত্র নেতা-সহ অনেকে।
বৈঠকের পরে জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, “মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন বা ভোটের দিন যাতে কলেজ গেটে বহিরাগতেরা থাকতে না পারে এবং আইকার্ড ছাড়া কাউকে যাতে কলেজের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া না হয়, তা নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশ সুপারকে বলা হয়েছে। বহিরাগতেরা থাকবে কলেজ থেকে আধ কিলোমিটার দূরে। আমরা জেলায় শান্তিপূর্ণ ভোট চাই।” তাঁর আশঙ্কা, জেলায় বিরোধীদের রাজনৈতিক জমি না থাকায় তারা বেশিরভাগ আসনে প্রার্থী দিতে না পেরে গোলমাল পাকাতে পারে। সে ক্ষেত্রে দলের অবস্থান কী হবে? জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, “আমাদের উপরে আক্রমণ হলে আমরা প্রতিরোধ করব। তবে রাজনৈতিক ভাবে কোনও রক্তপাত আমরা চাই না।”
গোটা ভোটপর্বের উপরে দলের পক্ষ থেকে নজর রাখতে পাঁচ জনের একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। দলের জেলা কার্যালয়ে বসে পরিস্থিতির উপরে নজর রাখবেন তাঁরা। ওই কমিটিতে অবশ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কাউকে রাখা হয়নি। যা নিয়ে দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে।জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, “আমরা অভিভাবক হিসাবে সব কিছুর উপরে নজর রাখব।” জেলা পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী বলেন, “কলেজ ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে এবং বহিরাগতদের নিয়ন্ত্রণ করতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”